Electric Cycle: ইলেকট্রিক সাইকেলে 7500 টাকা ভর্তুকি কীভাবে মিলবে, দেখে নিন এক ক্লিকে

লক্ষ্য ইলেকট্রিক ভেহিকেলের সম্প্রসারণ, তাই সম্প্রতি ইলেকট্রিক বাইসাইকেলকে বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতির আওতাভুক্ত করেছে দিল্লি প্রশাসন। প্রথম দশ হাজার ক্রেতাকে ৫,৫০০ টাকা এবং প্রথম ১,০০০ ক্রেতাকে…

লক্ষ্য ইলেকট্রিক ভেহিকেলের সম্প্রসারণ, তাই সম্প্রতি ইলেকট্রিক বাইসাইকেলকে বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতির আওতাভুক্ত করেছে দিল্লি প্রশাসন। প্রথম দশ হাজার ক্রেতাকে ৫,৫০০ টাকা এবং প্রথম ১,০০০ ক্রেতাকে অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ঘোষণাকালে এই আর্থিক সুবিধা কীভাবে মিলবে, তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। ফলে বিক্রেতা থেকে গ্রাহক, সকলের মনেই দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। তবে এবার ভর্তুকি পাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টির এক প্রতিনিধি বিস্তারিত জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, একটি ভাল ব্যাটারিচালিত সাইকেলের দাম ২৫,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। সাইকেলের দৃষ্টিভঙ্গিতে যা অনেকটাই বেশি। এই প্রকার বৈদ্যুতিক সাইকেলের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে দেখা যায় একটি ৩৬ ভোল্ট লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এবং ২৫০ ওয়াট মোটরের সাথে সংযুক্ত আইপি ৬৭ ব্যাটারি প্যাক। মডেল বিশেষে এই জাতীয় সাইকেলের রেঞ্জ হয় ২৫ থেকে ৪৫ কিমি। তবে ম্যাগনেটিক চার্জিং, এলইডি ডিসপ্লে, ৭-স্পিড গিয়ার সেট এবং ডিস্ক ব্রেকের সুবিধা থাকলে দাম যথেষ্টই বেড়ে যায়। তাই দিল্লিতে ই-সাইকেলের ব্যবহার তথা বিক্রি বাড়াতে ইনসেন্টিভের ঘোষণা করেছে কেজরিওয়াল সরকার।

এই ভর্তুকির বিষয়টি দিল্লি সরকারের অনলাইন পোর্টাল ev.delhi.gov.in থেকে পরিচালনা করা হবে। কোনও ডিলার ই-সাইকেল বিক্রি করলে তাঁকে ওই ওয়েবসাইটে লগ-ইন করে ক্রেতার আধার কার্ড সহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করাতে হবে। এরপর ক্রেতার ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। পূর্বনির্ধারিত ভর্তুকির পরিমাণ এক মাসের মধ্যে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে। ক্রেতাকে আলাদা করে আবেদনের প্রয়োজন নেই৷ ডিলারকেই লগ-ইন করে ভর্তুকির জন্য আবেদন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষ দিক থেকে বৈদ্যুতিক সাইকেলে ভর্তুকি চালু করতে পারে দিল্লি সরকার। অন্যদিকে পণ্য পরিবহনের জন্য উচ্চ ক্ষমতার কার্গো ই-সাইকেলেও দেওয়া হচ্ছে ভর্তুকি। প্রথম ৫,০০০ ক্রেতাকে দেওয়া হবে ১৫,০০০ টাকা। আবার তিন চাকার বৈদ্যুতিক বাণিজ্যিক গাড়ির (ই-কার্ট) ক্ষেত্রেও মিলবে আর্থিক সহায়তা। যার পরিমাণ ৩০,০০০ টাকা।