Hyundai ভারতে লগ্নি করবে প্রায় 4000 কোটি টাকা, নিয়ে আসবে ছ’টি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি

ভারত সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে। দেশের জনগণের কাছে ইলেকট্রিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়াতে নিয়ে এসেছে উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক সুবিধা প্রকল্প (PLI) ও ফেম-২…

ভারত সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে। দেশের জনগণের কাছে ইলেকট্রিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়াতে নিয়ে এসেছে উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক সুবিধা প্রকল্প (PLI) ও ফেম-২ (FAME-II)। পাশাপাশি দেশের গাড়ি সংস্থাগুলির প্রতি বিকল্প জ্বালানির উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্যে অন্যতম ‘বিদ্যুৎ’। কেন্দ্রের আহ্বানে ইতিমধ্যেই সাড়া দিয়েছে একাধিক সংস্থা। ভারতের বাজারে নতুনত্ব বৈদ্যুতিক গাড়ির মডেল নিয়ে আসার পাশাপাশি তারা এই ক্ষেত্রটিতে বিনিয়োগ করছে। সেই তালিকায় এবার দক্ষিণ কোরিয়ান অটো নির্মাতা Hyundai Motor Co। ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের বাজারে ছ’টি বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে সংস্থাটি।

পাশাপাশি, ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে হুন্ডাই মোটর (Hyundai Motor)। আবার ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারী হিসেবে ২০২২-এর মধ্যেই সাশ্রয়ী, প্রিমিয়াম, এসইউভি ও সেডান মডেলের কয়েকটি বৈদ্যুতিক গাড়ি লঞ্চের কথা জানিয়েছেন সংস্থার ডিরেক্টর (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) তরুণ গর্গ (Tarun Garg)। তাঁর কথায়, “আমরা ভারতের ইভি খাতে অন্যতম অবদান রাখতে চাই।”

বর্তমানে সংস্থার এই ৬টি বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রকল্পটি গবেষণা এবং উন্নয়নের আওতাধীন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারের পরিবেশ দূষণ রোধে কঠোর নির্গমন বিধির ফলে হরেক অটো সংস্থাগুলি ইভি ক্ষেত্রে বিনিয়োগে বাধ্য হচ্ছে। অবশ্য বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের জনপ্রিয়তাও তাৎপর্যপূর্ণ হারে বেড়ে চলেছে। ২০৩০ এর মধ্যে এই জাতীয় গাড়ির বিক্রি আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

নিজেদের প্রতিপক্ষ সংস্থা Tata Motors ও Mahindra & Mahindra-র সাথেও হাত মিলিয়েছে হুন্ডাই। উদ্দেশ্য ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পে জোয়ার নিয়ে আসা। অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা Maruti Suzuki বর্তমানে বিকল্প জ্বালানি (যেমন সিএনজি) এবং হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ি নিয়ে এসেছে। আবার ২০২৫-এর মধ্যে সংস্থাটি ব্যাটারিচালিত গাড়ি নিয়ে আসতে পারে বলে অনুমান।

Hyundai-এর ডেডিকেটেড ইলেকট্রিক প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি গাড়িগুলির রেঞ্জ হবে ৮০০ কিমি। এ বাদে অন্য মডেলের রেঞ্জ হবে ৩৫০-৪০০ কিমি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে Kona EV গাড়িটি লঞ্চ করেছিল Hyundai। কিন্তু অপর্যাপ্ত চার্জিং পরিকাঠামোর কারণে মডেলটি তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে গর্গের বক্তব্য, “Kona শিখিয়েছে সাশ্রয়ী মডেলের বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আসার বিষয়টি। সাথে চার্জিংয়ের সুবিধা বাড়াতে হবে।”