মানবসভ্যতা ও প্রযুক্তির প্রতি গভীর বার্তা দিয়ে এই শহরে মূর্তি বসাল Hyundai
সম্প্রতি দিল্লিতে ১০ মিটার উচ্চতার ’করজোড়ে প্রণামরত' একটি মূর্তি স্থাপন করল দক্ষিণ কোরিয়ার অটোমোবাইল ব্র্যান্ড হুন্ডাই...সম্প্রতি দিল্লিতে ১০ মিটার উচ্চতার ’করজোড়ে প্রণামরত' একটি মূর্তি স্থাপন করল দক্ষিণ কোরিয়ার অটোমোবাইল ব্র্যান্ড হুন্ডাই (Hyundai)। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাওয়ার পথে নজরে পড়বে এই শিল্পকর্মটি। দেখে মনে হবে করজোড়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে। তবে এর পিছনে গভীর কারণ ব্যাখ্যা করেছে হন্ডাই। সংস্থা সূত্রে খবর, প্রযুক্তির সাথে মনুষ্যজাতির সহাবস্থান এবং পরিবহনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বার্তা দিতে কাঠামোটি স্থাপন করা হয়েছে।
একটি যান্ত্রিক হাত ও একটি রক্তমাংসের হাতকে প্রতীকি হিসাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। হাত দু'টিকে একটি বৃত্ত আবৃত রেখেছে, যার অর্থ ‘উদ্ভাবন’। এই স্থাপত্যের চতুর্দিকে রয়েছে সবুজ ঘাস এবং গাছপালা, যা স্থায়িত্ব বর্ণনা করে। হুন্ডাই বলেছে, এটি শিল্প যুগের অবসান। সমগ্র বিশ্বে মানবসভ্যতা ক্রমশ পরিবেশগত বিবর্তনের দিকে এগিয়ে চলেছে।
গাড়ি নির্মাতা সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই রোবটিক হাত গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা এবং জীবনশৈলীর উন্নীতকরণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে নির্দেশ করে। হুন্ডাইয়ের ‘বিয়ন্ড মোবিলিটি’ বা গতিশীলতা পেরনোর যে কৌশল রয়েছে, তা সমগ্র বিশ্বে মনুষ্যধর্মের প্রতি সংস্থার উদ্দেশ্যকে তুলে ধরে। এমনকি এর মাধ্যমে সংস্থাটি চায় কেবলমাত্র গাড়ি বিষয়ক নয়, বরং এর বাইরে সমাজের উন্নয়নে কাজে আসে এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে।
যে প্রযুক্তি উন্নত, অত্যাধুনিক এবং যা ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী, তার ওপর কাজ করা বর্তমানে হুন্ডাইয়ের লক্ষ্য। যা গ্রাহকদের একটি উন্নত নেটওয়ার্কের অভিজ্ঞতা দেবে। হুন্ডাই আরও জানিয়েছে, তারা গ্রাহকদের মনের ইচ্ছা জানতে চায় এবং আগামীতে সেই অনুযায়ী গাড়ি নিয়ে আসবে। যেমন সংস্থার ব্লু লিঙ্ক টেকনোলজি গাড়ি চালানোর সময় কাছের মানুষের সাথে সংযুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা দেয়। এখন সংস্থার আটটি গাড়িতে ৬০-এর বেশি ফিচারসমৃদ্ধ এই প্রযুক্তি উপলব্ধ।