Hyundai Supernal: ফ্লাইং ট্যাক্সির স্বপ্নে বুঁদ হুন্ডাই, যাত্রীরা পাবেন উড়োযানে চড়ার সুযোগ

বাসে-ট্রেনে চিড়েচ্যাপ্টা ভিড়। ঠাসাঠাসি এড়াতে ক্যাব ভাড়া করলেও নিস্তার নিই। সেই যানজটে আটকে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজে যেতে দেরি। কর্মব্যস্ত জীবনের বর্তমান চিত্রটা এমনই। কে মুক্তি দেবে এই…

বাসে-ট্রেনে চিড়েচ্যাপ্টা ভিড়। ঠাসাঠাসি এড়াতে ক্যাব ভাড়া করলেও নিস্তার নিই। সেই যানজটে আটকে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজে যেতে দেরি। কর্মব্যস্ত জীবনের বর্তমান চিত্রটা এমনই। কে মুক্তি দেবে এই সমস্যা থেকে? উত্তরে বলা যায় আরবান এয়ার মোবিলিটি বা ইউএএম (UAM)। সহজবোধ্য ভাষায় বললে, উড়ন্ত ট্যাক্সি বা ফ্লাইং কার। ছোট এই বিমানগুলি ট্যাক্সির মতোই স্বল্প দূরত্বের কোনও গন্তব্যে নিয়ে যাবে। ট্যাক্সি কীভাবে আকাশে ওড়ানো যায়, সেই প্রযুক্তিকে বাস্তবের রূপ দিতে এখন প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্বের প্রথম সারির সংস্থাগুলির মধ্যে।

গত বছর বিশ্বজুড়ে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যে একটি সাবসিডিয়ারি বা শাখা সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছিল হুন্ডাই (Hyundai)। প্রতিষ্ঠার ঠিক এক বছর বাদে সেই সংস্থার নামকরণ করল তারা। হুন্ডাইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ইউএএম সাবসিডিয়ারির নতুন নাম এটার্নাল (Eternal)। আমেরিকা থেকেই কাজ করবে হুন্ডাইয়ের শাখা সংস্থাটি। চার বা পাঁচ আসন বিশিষ্ট, অটোনোমাস, বিদ্যুৎচালিত ইলেকট্রিক ভারটিকল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ই-ভিটল) এয়ারক্রাফ্ট বিকাশ করবে তারা।

এএনআই-এর প্রতিবেদনে থেকে জানা গিয়েছে, বিগত একবছর ধরে সংস্থাটি (এটার্নাল) ই-ভিটল এর রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট করছে। অর্থাৎ যে গাড়ির উড়ান ভরার জন্য রানওয়ের দরকার হয় না। হেলিকপ্টারের মতো যে কোনও জায়গা থেকেই উড়ে যেতে পারে এবং নীচে নামতে পারে। ব্যাটারিচালিত বলে বের হয় না কোনও ধোঁয়া৷ পরিবেশও থাকে পরিচ্ছন্ন।

২০২৮ সালের মধ্যে হুন্ডাই-এটার্নালের প্রথম ফ্ল্যাইং ট্যাক্সি কনসেপ্ট যাত্রী নিয়ে আকাশপথে পাড়ি দেবে। এটার্নালের সিইও এবং হুন্ডাই মোটর গ্রুপ (Hyundai Motor Group)-এর প্রেসিডেন্ট জাইওন শিন (Jaiwon Shin) বলেছেন, “মানুষ ও সমাজের চলাচলের ধারণা আমরা বদলে দিতে চাই৷ হুন্ডাইয়ের দক্ষতার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আরবান এয়ার মোবিলিটি বা ইউএএম সঠিক দামে বাজারে আসবে এবং জনসাধারণের ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠবে।