UPI Scam: ইউপিআই আইডি পরিবর্তন করে চলছে দেশজুড়ে জালিয়াতি, সতর্কতা জারি করল ICICI ব্যাঙ্ক

করোনার পর থেকেই ভারতবাসী পুরোপুরি ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। প্রথমদিকে বড় রেস্তোরা বা স্টোরে UPI...
SUPARNA 27 Jun 2024 7:58 PM IST

করোনার পর থেকেই ভারতবাসী পুরোপুরি ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। প্রথমদিকে বড় রেস্তোরা বা স্টোরে UPI -এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা হলেও, পরবর্তীতে সবজি-ফল বিক্রেতার মতো ছোটোখাটো ব্যবসায়ীরাও ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে শুরু করে। বর্তমানে UPI বা অনলাইন ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করেন না এমন মানুষ হাতে গোনা। কিন্তু UPI -এর জনপ্রিয়তাই এখন ব্যবহারকারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। আসলে হালফিলে ICICI ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের ভুয়ো UPI পেমেন্ট জালিয়াতি সম্পর্কে সতর্ক করে X প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে। যেখানে প্রতারকরা কীভাবে 'ভুলবশত' UPI -এর মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দিয়ে তা ফেরত চাওয়ার নামে মানুষকে স্ক্যাম করছে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। একই সাথে এধরণের UPI জালিয়াতি থেকে দেশবাসী নিজেদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন সেই পরামর্শও দিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

ICICI ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের কেন্দ্র করে চলছে জাল UPI পেমেন্ট মেসেজ জালিয়াতি

ICICI ব্যাঙ্কের তরফ থেকে হালফিলে X প্ল্যাটফর্মে ভিডিও সহ একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। যেখানে UPI পেমেন্ট মেসেজ স্ক্যামিং সম্পর্কে নতুন ও বিদ্যমান গ্রাহকদের বিশেষ সতর্ক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, UPI পেমেন্ট যেমন ব্যাঙ্ক মারফত হয় তেমনি মোবাইল নম্বর দিয়েও করা যেতে পারে। অর্থাৎ কারোর কাছে যদি আপনার মোবাইল নম্বর থাকে এবং তা ব্যাঙ্কের সাথে লিঙ্কড হয় তবে আপনার অনুমতি ছাড়াও সেই নম্বরে টাকা পাঠানো সম্ভব। আর এই সুবিধারই অপব্যবহার করছে প্রতারকরা। কিছু অসৎ ব্যক্তি অজানা নম্বরে প্রথমে টাকা পাঠাচ্ছে। তারপর ভিক্টিমকে ফোন করে বলছে 'ভুলবশত সেই নম্বরে তারা UPI পেমেন্ট করে দিয়েছে'। পরবর্তীতে পাঠানো টাকা ফেরত চাওয়া হচ্ছে। আর এখন থেকেই শুরু হচ্ছে স্ক্যাম।

পোস্টে বলা হয়েছে - “UPI ব্যবহারকারীরা সাবধান হোন। প্রতারকরা ফোন করে আপনাকে ভুল করে UPI পেমেন্ট করেছে বলবে। তারপর প্রাপ্ত টাকা ফেরত চাইবে। এক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ চেক করুন। কেননা তারা আপনাকে ২০,০০০ টাকা পাঠিয়েছে বলে দাবি করতে পারে৷ কিন্তু বাস্তবে পাঠিয়েছে হয়তো মাত্র ২০০ টাকা।"

অনেকেই হয়তো ভাবছেন মানুষ কীভাবে এত সহজে ফাঁদে পড়তে পারে? বা কীভাবে ২০০ টাকা ও ২০,০০০ টাকার মধ্যেকার ফারাক নজরে পড়বে না? এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছে ICICI ব্যাঙ্ক। দাবি করা হচ্ছে -"৫-অঙ্কের সংখ্যার মধ্যে দশমিকের অবস্থান পরিবর্তন করে কৌশলগতভাবে মানুষ ঠকানো হচ্ছে।" আরো সহজ করে বললে, ২০০ টাকা পাঠানোর সময়ে তা ২০০,০০ -এই ভাবে লেখার মাধ্যমে করা হচ্ছে স্ক্যাম।

কর্মব্যস্ততার মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা UPI মারফত কত টাকা পেয়েছেন তাতে শুধুমাত্র নজর বুলিয়ে নেন, ঠিক ভাবে চেক করেন না। ফলে এইধরণের স্ক্যামিং কল এলে অনেকেই তাড়াহুড়ো করে টাকা পাঠানোর কারণে প্রতারিত হয়ে যাচ্ছেন। এমনকি সত্যি এরকম কোনো 'ভুলবশত' পেমেন্ট করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য পেমেন্টের বিবরণ অবধি চেক করে না। মোট কথা বেখেয়ালি বা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে না নেওয়া ফলেই মানুষ সহজেই প্রতারিত হচ্ছেন।

উদাহরণস্বরূপ, আজকাল UPI QR জালিয়াতি সম্পর্কে খুব শোনা যাচ্ছে। দোকানদাররা প্রত্যেকেই অনলাইন পেমেন্টের জন্য QR কোড দেওয়াল বা বোর্ডে টাঙিয়ে রাখে। যার ফায়দা তুলছে কিছু ব্যক্তি। দোকানদারের লাগানো আসল UPI QR কোডের উপর প্রতারকরা নিজেদের QR কোড লাগিয়ে দিচ্ছে। যার দরুন ক্রেতাদের পাঠানো টাকা দোকানদারের পরিবর্তে চলে যাচ্ছে প্রতারকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।

তাই ICICI ব্যাঙ্ক খুব সাবধানতার সাথে ও সতর্ক থেকে UPI পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। পেমেন্ট পাওয়া বা পাঠানোর পর তা যথাযথভাবে চেক করলে এরকম প্রতারণার ফাঁদে পড়তে হবে না কাউকেই, আর না কষ্টার্জিত অর্থ খোয়াতে হবে।

Show Full Article
Next Story