Semiconductor: সেমিকন্ডাক্টরেও স্বনির্ভর হবে ভারত, অল্পদিনেই বাজার ছাড়াবে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

২০২৬ সালের মধ্যে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর উপকরণের বাজার ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (২৩,৬৭,২৮৪ কোটি টাকা) গন্ডি ছাড়াবে বলে সম্প্রতি, ‘ইন্ডিয়া ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসোসিয়েশন’ বা IESA…

২০২৬ সালের মধ্যে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর উপকরণের বাজার ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (২৩,৬৭,২৮৪ কোটি টাকা) গন্ডি ছাড়াবে বলে সম্প্রতি, ‘ইন্ডিয়া ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসোসিয়েশন’ বা IESA -র এক রিপোর্টে উঠে এসেছে। মূলত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প তথা ‘প্রোডাকশন লিংকড ইনসেন্টিভ’ (PLI) স্কিমের সাফল্যে সেমিকন্ডাক্টর উপাদান উৎপাদনে জোয়ার আসায় তার এহেন শ্রীবৃদ্ধি হবে বলে শোনা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে আলোচনাধীন IESA -র এই রিপোর্ট মঙ্গলবারই সর্বসমক্ষে এসেছে।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, গত বছর মোবাইল ও ওয়্যারেবল (Wearables) প্রোডাক্ট তথা তথ্যপ্রযুক্তি (IT) এবং অপরাপর শিল্পক্ষেত্র থেকেই সেমিকন্ডাক্টর উপকরণের ব্যবসার প্রায় ৮০ ভাগ মুনাফা উঠে আসে। আলোচ্য রিপোর্টে সেই তথ্যেরও উল্লেখ রয়েছে। এর সাথে রিপোর্ট জানিয়েছে যে সেমিকন্ডাক্টর সম্পর্কিত নীতির সংস্কার সাধিত হলে এবং দেশে উপযুক্ত সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম গড়ে উঠলে, আমাদের আর কোনওভাবেই আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টর দ্রব্যের উপর নির্ভর করতে হবেনা।

সেমিকন্ডাক্টর ও ডিসপ্লে উৎপাদন শিল্পের জন্য, PLI স্কিমের অধীনে ৭৬,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলো কেন্দ্র

এদিকে আইইএসএ (IESA) -র সিইও কৃষ্ণ মূর্তির দাবি, বর্তমান দশকের শেষের দিকে কার্বন নির্গমন থেকে শুরু করে পুনর্ব্যবহার উপযোগী শক্তি, খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রেও সেমিকন্ডাক্টর চিপের উপযোগিতা ও চাহিদা সর্বব্যাপক হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সেমিকন্ডাক্টর ও ডিসপ্লে উৎপাদন শিল্পের জন্য, পিএলআই স্কিমের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার সদ্য প্রায় ৭৬,০০০ কোটি টাকার রূপরেখা নির্মাণ করেছে।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের (Counterpoint Research) তরফে রিসার্চ ডিরেক্টর তরুণ পাঠক জানিয়েছেন যে, ফিচার ফোন ত্যাগ করে স্মার্টফোন ক্রয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি লাভ করায় মেমোরি, ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোলার সহ অ্যাডভান্সড লজিক প্রসেসর, সেন্সর এবং অন্যান্য উপাদানের চাহিদা যথেষ্ট বেড়েছে। পাশাপাশি স্মার্টওয়াচ, টিডব্লিউএস (TWS) প্রভৃতির উত্থানে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের ক্ষেত্র ভবিষ্যতেও চাঙ্গা থাকতে পারে বলেই তার বক্তব্য।

সর্বোপরি, ২০২৬ সাল নাগাদ পরপ্রজন্মের 5G নেটওয়ার্ক তথা এফটিটিএইচ (FTTH) পরিষেবার প্রয়োজন (প্রধানত নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো নির্মাণের উপযোগী উপকরণ তৈরি) পূরণের দ্বারা সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতির ক্ষেত্র ব্যাপকভাবে লাভবান হবে বলে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ সহ-সভাপতি, নীল শাহ জানিয়েছেন। তার দাবি, ২০২৬ সালে আমাদের মোট সেমিকন্ডাক্টর চাহিদার ১৪ শতাংশ 5G ও FTTH পরিষেবার পিছনেই ব্যয়িত হবে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন