বাচ্চাদের হাতে বাবার Tablet, ঘটল অপ্রীতিকর বিপদ! সাবধান, আপনিও এই ভুল করছেন না তো?
প্রযুক্তি দিন দিন বিকশিত হচ্ছে, তার সাথে আধুনিকতম হয়ে উঠছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনও। ইন্টারনেটের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা এখন...প্রযুক্তি দিন দিন বিকশিত হচ্ছে, তার সাথে আধুনিকতম হয়ে উঠছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনও। ইন্টারনেটের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা এখন ব্যাপক মাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে – ছোটো-বড় যেকোনো কাজে এবং অকাজেও আমরা 'অনলাইন' থাকছি। এমনকি গল্প বলা, খেলা ইত্যাদির পাট আর নেই, বাড়ির খুদের হাতেও এখন খেলনার বদলে অভিভাবকরা স্মার্টফোন ধরিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়, ফলত বারংবার ইন্টারনেটের নেতিবাচক প্রভাবের মুখে আমাদের পড়তে হচ্ছে।
যেমন সম্প্রতি এমন একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দুই যমজ সন্তান YouTube-এর অপব্যবহার করায় বন্ধ হয়ে গেছে এক চিকিৎসা কর্মীর চ্যানেল। গোটা ঘটনা জানলে আপনিও হয়তো বাচ্চাদের হাতে ফোন জাতীয় ডিভাইস দেওয়ার আগে দুবার ভাববেন!
বাচ্চাদের হাতে ট্যাব দিয়ে চরম জটিলতায় এক ব্যক্তি
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দা চিকিৎসা কর্মী ওয়াটকিন্সের ৭ বছর বয়সী যমজ সন্তান, তাঁর ইউটিউব চ্যানেল থেকে এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যার কারণে তিনি ইউটিউব অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি নিজের জিমেইল (Gmail) অ্যাকাউন্টের মায়া ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এক্ষেত্রে বাচ্চাগুলি একটি স্যামসাং ট্যাবলেটে লগ ইন থাকা গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ইউটিউবে নগ্ন ভিডিও পোস্ট করেছে। আর ওয়াটকিন্সের ইউটিউব চ্যানেলের বেশ কিছু ভিডিও পাঁচবারের বেশি ভিউ না পেলেও, ঘটনাচক্রে তাঁর ছেলেদের আপলোড করা ভিডিও অন্যরকম প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে আপলোড হওয়া ওই ভিডিওটি সম্ভাব্য যৌন শোষণ ক্যাটেগরিতে রিপোর্ট হয়, আর গুগলের সার্ভিস টার্মসের লঙ্ঘিত হওয়ায় সেটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপও নেওয়া হয়। ওয়াটকিন্স, অল্প সময়ের মধ্যে জানতে পারেন যে তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল হারাতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর সমস্ত গুগল অ্যাকাউন্টও লক করে দেওয়া হয় যে কারণে তিনি নিজের ছবি, ডকুমেন্ট এবং ইমেইলের অ্যাক্সেস হারান – এমনকি তিনি নিজের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও রিভিউ করতে পারেননি।
নিরাপদ থাকতে কী করবেন?
ওয়াটকিন্সের মতো অস্বস্তিতে পড়তে না চাইলে যতোটা পারবেন বাড়ির শিশুদের থেকে ফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদি ডিভাইস দূরে রাখুন। আর সেটা
সম্ভব না হলে আপনার সমস্ত ডিভাইসে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ফিচার চালু রাখুন, যাতে আপনি সন্তানদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এছাড়া সময়ে সময়ে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া চেক করতে থাকুন, বাচ্চাদের কাছে ডিভাইস দিলে সংবেদনশীল অ্যাপ পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রাখুন।