India: ভারত হবে সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং হাব, সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে মার্কিন-ইউরোপীয় সংস্থা
খুব তাড়াতাড়ি এক নতুন নামে ভারত বিশ্বের দরবারে পরিচিত হতে চলেছে। আসলে চিন ছাড়া এখন বিশ্বের সব সেমিকন্ডাক্টর...খুব তাড়াতাড়ি এক নতুন নামে ভারত বিশ্বের দরবারে পরিচিত হতে চলেছে। আসলে চিন ছাড়া এখন বিশ্বের সব সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারক সংস্থাই ভারতে এই জিনিসটি তৈরির জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে মনে করা হচ্ছে যে, খুব শীঘ্রই সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হতে চলেছে ভারত। জানা গিয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সংস্থাগুলি ভারতে সেমিকন্ডাক্টর তৈরির কাজে এগিয়ে আসতে পারে। উল্লেখ্য যে, এই সংস্থাগুলির অনেকেই আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হওয়া সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২২ সম্মেলনে অংশ নিতে আসছে। তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যেখানে সেমিকন্ডাক্টরের নির্মাণ, ডিজাইন এবং ইনোভেশন সম্পর্কে স্টেকহোল্ডাররা বিশদে আলোচনা করবেন।
সেমিকন্ডাক্টরের জন্য ৭৬,০০০ কোটি টাকার ইনসেন্টিভের ঘোষণা
ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর গত সোমবার ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশনের লোগো উন্মোচনের সময় বলেন, বেঙ্গালুরুতে এই সম্মেলনে সেমিকন্ডাক্টরের জন্য একটি ইকো-সিস্টেম তৈরি করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। মাইক্রন (Micron), সেমি (SEMI)-র মতো সংস্থার সিইও-রা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর সেমিকন্ডাক্টর নির্মাণের জন্য সরকার ইতিমধ্যেই ৭৬ হাজার কোটি টাকার ইনসেন্টিভের কথা ঘোষণা করেছে।
ইউরোপীয় ও আমেরিকান কোম্পানি শীঘ্রই ভারতে প্রবেশ করবে
মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্যামসাং (Samsung) ভারতে সেমিকন্ডাক্টর তৈরির কথা ঘোষণা করলেও এখনও পর্যন্ত সেদিকে বিশেষভাবে এগোয়নি কোরিয়ান সংস্থাটি। আবার, বিশ্বের প্রধান বৃহত্তম সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনশীল দেশ হিসেবে পরিচিত তাইওয়ান, চীনের কারণে ভারতে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের জন্য প্রকাশ্যে আসছে না। এমত পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও ইউরোপীয় সংস্থাগুলির কাছ থেকে কেন্দ্রের প্রচুর প্রত্যাশা রয়েছে, যা ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর হাব হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
ভারতে প্রথম সেমিকন্ডাক্টরের ডিজাইন শুরু হয়েছে
এদিকে ইতিমধ্যেই ভারতে সেমিকন্ডাক্টরের ডিজাইনিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিজাইন তৈরির ক্ষেত্রে সরকার যে অনুদান দেবে, তাতে উপকৃত হবেন এমএসএমই-রা (ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্প সংস্থা)। চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন যে, বিশ্বের বহু সংস্থাই ভারতে সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এর জন্য ওই সংস্থাগুলি ভারতের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য যে, সেমিকন্ডাক্টরের বিশ্বব্যাপী ঘাটতি রয়েছে এবং এর জন্য অটো থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্সের উৎপাদন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। তাই ভারত একটি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হয়ে উঠলে এই সমস্যার যে অনেকটাই সমাধান হবে, সেকথা নিঃসন্দেহে বলাই বাহুল্য।