Electric Highway: ব্যাটারিচালিত গাড়ির চার্জ ফুরালেও আর চিন্তা নেই, দেশে তৈরি হবে বৈদ্যুতিক হাইওয়ে

বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি ইতিমধ্যেই জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির ওপর নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ফেলেছে। সেই একই পথের পথিক ভারতও। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার…

বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি ইতিমধ্যেই জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির ওপর নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ফেলেছে। সেই একই পথের পথিক ভারতও। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ডিজেল এবং পেট্রোল চালিত গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব আনতে চলেছে বলে খবর। পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রিতে জোর দেওয়ার কথা বলছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিক চালিত গাড়ির উপর বিশেষ ভর্তুকির কথা ঘোষণা করেছে আসাম সরকার। মানুষের কাছে বৈদ্যুতিক গাড়িগুলি আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ির পাশাপাশি এবার বৈদ্যুতিক হাইওয়ে (Electric Highway) নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রার কথা শোনাল কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকরি।

সম্প্রতি দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণে গিয়ে দেশের হাইওয়ে সম্পর্কে ভবিষ্যতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে জয়পুর বৈদ্যুতিক সড়ক নির্মাণ তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প। এ বিষয়ে তিনি কোনো এক বৈদেশিক কোম্পানির সাথে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছেন। তবে এটা এখনও প্রস্তাবিত প্রকল্পের জায়গাতেই রয়েছে।

দেশের বহু মানুষের কাছেই বৈদ্যুতিক হাইওয়ে বিষয়টা এখনো অজানা। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ট্রেন যেমন বিদ্যুতে চলে তেমনই ভবিষ্যতে বাস এবং ট্রাকও বিদ্যুতে চলবে। বৈদ্যুতিক হাইওয়েতে গাড়িগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিচার্জ হয়ে যাবে। এমনকি এই বৈদ্যুতিক হাইওয়েতে যে কোনো গাড়ি বৈদ্যুতিক গাড়ির মতই কাজ করবে, আবার অন্য রাস্তাতে এই গাড়িগুলিই রেগুলার হাইব্রিড গাড়ি হিসেবেও চলতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এই পদক্ষেপের ফলে পরিবেশের দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ২০১৬ সালে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৈদ্যুতিক হাইওয়ের (যা সুইডেনে রয়েছে) প্রসঙ্গ প্রথম জানিয়েছিলেন গডকরি। এমনকি সে সময় তিনি সুইডিশ উদ্যোগ ও উদ্ভাবন মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত এক প্রতিনিধি দলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন।

এদিন মধ্যপ্রদেশে ৩৪টি নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন নীতিন গডকরি, যার জন্য কেন্দ্রের ৯,৫৭৭ টাকা খরচ হবে। একই সাথে তিনি জানিয়েছেন আগামী দিনে আরও ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন