পেট্রলে ইথানল মেশানোয় গতি আনছে কেন্দ্র, 2023-এর এপ্রিল থেকে নতুন ধরনের তেল
তেল আমদানির খরচ বাঁচিয়ে রাজকোষ শক্ত করার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ কমানোর লক্ষ্যে পেট্রলে বেশি করে ইথানল মিশিয়ে স্বনির্ভর হতে...তেল আমদানির খরচ বাঁচিয়ে রাজকোষ শক্ত করার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ কমানোর লক্ষ্যে পেট্রলে বেশি করে ইথানল মিশিয়ে স্বনির্ভর হতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই ২০১৮-এর জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতি সংশোধন করে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে দেশের কয়েকটি বাছাই করা জায়গায় পেট্রলে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। যদিও প্রাথমিক ভাবে ভারত সরকার ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে গোটা দেশে সেটা ২০% করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
ভারতে এখন ৮৫ শতাংশ জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়। আর্ন্তজাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে খরচ কমানোর নানা পন্থা নিচ্ছে ভারত। তার মধ্যে অন্যতম ইথানলের মতো বিকল্প জৈব জ্বালানির সন্ধান। সূত্রের খবর, বিগত তিন মাস ধরে দেশে পেট্রলে ১০.৫% ইথানল মেশানো হচ্ছে
এই অর্থবর্ষে ইথানল মিশিয়ে আমদানি খাতে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই নির্মাতাদের পেট্রল-ডিজেলের পাশাপাশি বায়ো-ফুয়েল বা জৈব জ্বালানিতে চলার উপযুক্ত ফ্লেক্স-ফুয়েল (Flex-Fuel) বা ফ্লেক্সিবেল ফুয়েল (পেট্রল + ইথানল/মিথানল) ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ি নিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতীন গডকড়ী (Nitin Gadkari)।
প্রসঙ্গত, দেশে আখ, ধান, ভুট্টা, চিনির উৎপাদন ব্যাপক ভাবে হওয়ায় জৈব জ্বালানি সহজেই উৎপাদন করা যাবে। আর ইথানল বা জৈব জ্বালানির ব্যবহার বাড়ালে দেশের উদ্বৃত্ত খাদ্যশষ্যকে কাজে লাগানো যাবে এবং তেল আমদানির খরচ কমতে থাকবে। এই ধরনের জ্বালানি পেট্রলের চেয়ে কম দূষণ সৃষ্টি করে। ফলে পরিবেশের পক্ষেও ভাল আবার পেট্রলের চেয়ে দাম কম হওয়ার কারনে জৈব জ্বালানিতে গাড়ি চালাতে পারলে সুরাহা হবে মালিকদের। তবে এত তাড়াতাড়ি সরকারের পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, এ ক্ষেত্রে নতুন ইঞ্জিন তৈরিতে বিপুল লগ্নি করতে হবে নির্মাতাদের।