স্মার্টফোন তৈরিতে ভারত হতে পারে বিশ্ব শ্রেষ্ঠ, সুযোগ কাজে লাগাতে তৎপর নোকিয়া কোম্পানি

করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব, চীনের ওপর অর্থনৈতিক দুর্দশার চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনমানস চীনা পণ্য বয়কট করার দাবি করছে। বিভিন্ন সংস্থাগুলি একটি “চীন-প্লাস ওয়ান” স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। নোকিয়া…

করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব, চীনের ওপর অর্থনৈতিক দুর্দশার চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনমানস চীনা পণ্য বয়কট করার দাবি করছে। বিভিন্ন সংস্থাগুলি একটি “চীন-প্লাস ওয়ান” স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। নোকিয়া মোবাইল নির্মাতা এইচএমডি গ্লোবাল সংস্থাটি এখন এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে মোবাইলের উৎপাদন বাড়াতে চাইছে। সংস্থার এক এক্সিকিউটিভ জানিয়েছেন এই উৎপাদন প্রক্রিয়া তরুণ গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে বা শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিতে উপলব্ধ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি এইচএমডি গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট – কর্পোরেট বিজনেস ডেভলপমেন্ট অজয় মেহতা, CII দ্বারা কো-হোস্ট করা হোরাসিস ইন্ডিয়া মিটিংয়ে বলেছেন, ভারতকে মোবাইল ডিভাইসগুলির জন্য গ্লোবাল হাব হিসাবে গড়ে তোলার একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং কোভিড-১৯ এই প্রক্রিয়াটি এক ধরণের ত্বরান্বিত করেছে। মেহতা আরও জানান, স্মার্টফোনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ডেটা ব্যবহার প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে, কারণ বেশিরভাগ লোকেরা বাড়িতে বসে কাজ করছেন বা অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতে পড়াশোনা করছেন। গ্রাহকদের এই চাহিদা এবং পর্যাপ্ত দক্ষ শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়ানো যাবে। মেহতা আরো উল্লেখ করেছেন “5G” ভারতীয় বাজারে আরো উৎপাদন বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে আসবে।

জানিয়ে রাখি, এইচএমডি গ্লোবাল, ভারতে তার ডিভাইসগুলি তৈরি করতে একাধিক ODMs (অরিজিনাল ডিজাইন ম্যানুফ্যাকচারার্স) এর সাথে কাজ করছে। ভিয়েতনামের মতো দেশ, যা চীন বাদে প্রধান উৎপাদন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি, মোবাইল উৎপাদনের জন্য তাদের সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে মেহতা বলেন, যে কোনও শিল্পের জন্য অন্য দেশ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে প্রোডাক্ট ডেভলপ করা অসম্ভব। পণ্য সরবরাহের জন্য একটি গ্লোবাল সাপ্লাই চেন সিস্টেম থাকা দরকার।

আপনাকে জানিয়ে রাখি সরকার বৈশ্বিক মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুতকারীদের আকর্ষিত করার জন্য এবং বৈদ্যুতিন উৎপাদনের জন্য স্থানীয় সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিতে ৫০,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে। “ICEA-EY”-এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে ভারতে মোবাইল উৎপাদন ও রফতানি বাড়াতে প্রয়োজনীয় সকল উপাদান রয়েছে। রেন্ডার হিসেবে প্রতিযোগিতায় ভারত, ভিয়েতনাম এবং চীনের তুলনায় যথাক্রমে মাত্র ১০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ পিছিয়ে আছে। শীঘ্রই ভারতকে ইস্যু সমাধান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *