কেন্দ্র সরকারের আশ্বাস, 5G-র কয়েক বছর পরই আসছে স্বদেশী 6G
দেশে 5G পরিষেবা চালু হতে এখনও বেশ খানিকটা দেরী রয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সেসব ধর্তব্যের মধ্যেই আনলেন না...দেশে 5G পরিষেবা চালু হতে এখনও বেশ খানিকটা দেরী রয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সেসব ধর্তব্যের মধ্যেই আনলেন না কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সম্প্রতি The Financial Times এবং The New Indian Express আয়োজিত এক ওয়েবিনারে মন্ত্রীর আশ্বাস - খুব তাড়াতাড়ি দেশে 6G নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়বে! এর ফলে দেশের তামাম জনতা আগামী ২০২৩ অথবা ২০২৪ সাল নাগাদ 6G পরিষেবার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে বৈষ্ণবের দাবী। ইতিমধ্যেই তারা 6G পরিষেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলেও মন্ত্রী জানান।
স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরী হচ্ছে সফটওয়্যার ও অন্যান্য উপকরণ - 6G যুগের সূচনা হবে দ্রুত
দেশে 6G পরিষেবার সূচনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান অশ্বিনী বৈষ্ণব আরো জানিয়েছেন যে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করেই ভারত এক্ষেত্রে অগ্রসর হবে। এজন্য জরুরি সফটওয়্যার ও অন্যান্য উপকরণ প্রস্তুতির কাজ থেমে নেই। মেড ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের অধীনে সেই কাজ চলছে বলে মন্ত্রীর দাবী। একাজে সফল হলে আর কিছুদিনের মধ্যেই দেশে 6G যুগের সূচনা হবে। আগামীদিনে এই দেশীয় 6G প্রযুক্তিকে আমরা বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবো বলে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
অবশ্য 6G নেটওয়ার্ক নয়, বরং এই মুহূর্তে সকলেই 5G পরিষেবা চালুর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। পরবর্তী প্রজন্মের এই পরিষেবা চালুর ব্যাপারেও এর আগে বহু প্রতিশ্রুতি, বহু আশ্বাস প্রদান করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত 5G চালুর দিনক্ষণ স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বৈষ্ণব জানান যে, ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে তারা 5G স্পেক্ট্রাম নিলামের আয়োজন করবেন।
তিনি যোগ করেন, দেশীয় বাজারে উপস্থিত টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থাগুলি 5G ট্রায়ালের জন্য আরো কিছুটা সময় চেয়ে আবেদন করেছে, যা মঞ্জুর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে আগামী ৩১শে মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।
6G ও 5G সংক্রান্ত আলোচনার বাইরে দেশের যোগাযোগ মন্ত্রী এদিন টেলিকম ব্যবসা সম্পর্কে সরকারি নীতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। তার দাবী, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সংস্কারের ফলে দেশের টেলিকম বিভাগের উপরে চাপ অনেকটাই কমেছে। ভবিষ্যতেও তারা এমন কিছু সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, যা টেলিকম ব্যবসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত লাভজনক হবে বলে মন্ত্রীর বক্তব্য। যদিও এই সংস্কারের বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।