ডিজিটাল গ্রেপ্তার জালিয়াতির সাথে যুক্ত, হাজার হাজার স্কাইপি আইডি ও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান করল সরকার
ভারত সরকার 1,700 স্কাইপ আইডি এবং 59,000 হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করর। এসব অ্যাকাউন্ট 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট জালিয়াতি'র কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভারত সরকার 1,700 স্কাইপ আইডি এবং 59,000 হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করর। এসব অ্যাকাউন্ট 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট জালিয়াতি'র কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশে ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধ রোধের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ। ডিজিটাল গ্রেফতার জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়ো পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তা সেজে নিরীহ মানুষকে বোকা বানানো হয় এবং মামলা থেকে নিষ্কৃতির নামে মোটা টাকা হাতানো হয়।
ডিজিটাল গ্রেপ্তার জালিয়াতি কীভাবে কাজ করে?
এই ধরনের জালিয়াতির ক্ষেত্রে, অপরাধীরা স্কাইপি, হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। তারা ভুয়ো গ্রেফতারি আদেশ বা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করে।
সরকার এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে সক্রিয় সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলি সনাক্ত করতে সাইবার এজেন্সিগুলিকে নিযুক্ত করেছিল। তদন্তে নেমে হাজার হাজার অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। যারপর এসব অ্যাকাউন্ট ব্লক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তায় গুরুত্ব
সরকার বলেছে যে এই জাতীয় মামলা মোকাবিলায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির সাথে সমন্বয় বাড়ানো হবে। পাশাপাশি সাইবার জালিয়াতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হবে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সাইবার বিশেষজ্ঞরা। অপরিচিত নম্বর বা ইমেইল থেকে আসা মেসেজকে বিশ্বাস না করতে বলা হয়েছে। কোনও সন্দেহজনক মেসেজ বা কল এলে অবিলম্বে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। ডিজিটাল লেনদেন করার সময় সতর্ক থাকতে এবং অপরিচিত অ্যাপ বা লিঙ্কে ক্লিক না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকার 1,700 স্কাইপ আইডি এবং 59,000 হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করর। এসব অ্যাকাউন্ট 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট জালিয়াতি'র কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।