একদিকে ভারতে যেমন ক্রমশ অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা বেড়ে চলেছে, ঠিক তেমনই সাইবার ক্রাইমের বাড়বাড়ন্ত রুখতে এবং দেশবাসীকে স্বস্তি দিতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে মোদী সরকার। তবে স্ক্যাম আটকাতে এবার কেন্দ্র একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেছে, সম্প্রতি সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের তরফে ৪০ লাখেরও বেশি জাল সিম কার্ড ব্লক করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ৩০ হাজারেরও বেশি ভুয়ো পয়েন্ট অব ভিউ সেলস এজেন্টকে কালো তালিকাভুক্ত অর্থাৎ ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে। এই তথ্য শেয়ার করেছেন খোদ কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
হালফিলে সরকার চালু করেছে Sanchar Saathi পোর্টাল
মাত্র কয়েকদিন আগেই কেন্দ্র সরকার, সঞ্চার সাথী নামক পোর্টাল চালু করেছে যা নাগরিকদের হারিয়ে বা চুরি হয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। তবে মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে, সম্প্রতি চালু হওয়া এই পোর্টালই স্প্যাম কল শনাক্ত করে অনলাইন জালিয়াতির ঘটনাগুলি অনেকাংশে রোধ করতে সাহায্য করেছে৷ সঞ্চার সাথীর মাধ্যমেই সরকার ভুয়ো সিম কার্ড কানেকশন এবং পিওএস (POS) এজেন্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
বৈষ্ণবের মতে, সাইবার অপরাধের মোকাবিলায় সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তবে এই প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নাগরিকদেরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন, তাই তাঁরা যেন অপরিচিত (পড়ুন সন্দেহভাজন) নম্বর থেকে চট করে কল রিসিভ না করেন এবং বিশ্বাস না করে ফেলেন সে বিষয়ে জনগণকে অনুরোধ করেছেন তিনি। আসলে এখন অপরিচিত নম্বর থেকে কল বা মেসেজ করে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করা এবং বোকা বানানোর বিষয়টি বেশ বেড়েছে। সেই কারণেই শ্রী বৈষ্ণব, দেশবাসীকে কেবল জানা-শোনা নম্বরের কল পিকআপ করতে বলেছেন।
বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে সিম কার্ড ব্লক করেছে DOT
সংবাদমাধ্যম পিটিআই (PTI)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিওটি (DoT) বা ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশন সরকারের তরফে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে ১৭,০০০টি সিম কার্ড ব্লক করেছে। ব্লক করা সিম কার্ডের সাথে ৯টির বেশি কানেকশন ছিল অভিযোগ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ডিওটির নিয়ম এটাই যে দেশের একজন নাগরিক একটি সিম কার্ডে সর্বোচ্চ ৯টি মোবাইল কানেকশন পেতে পারেন, যেখানে জম্মু ও কাশ্মীর, আসাম এবং উত্তর-পূর্ব দিকের রাজ্যের মানুষেরা একটি সিম কার্ডে মাত্র ৬টি সংযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে আরও অনেক সিম ব্লক করা হবে বলে দফতরটি জানিয়েছে।