সংবাদ প্রকাশক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের স্বস্তি, AI এর জন্য আর বিপদে পড়বেন না, আইন আনছে সরকার
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি বিশেষ আগ্রহী হচ্ছে মানুষ। আর উত্তরোত্তর চাহিদার কারণে বহু...বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি বিশেষ আগ্রহী হচ্ছে মানুষ। আর উত্তরোত্তর চাহিদার কারণে বহু সংস্থা তাদের ডিভাইস, সার্চ ইঞ্জিন তথা ইকো-সিস্টেমে এই নয়া প্রযুক্তি জুড়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বহু সংস্থাই অ্যাডভান্স পরিষেবা দেওয়ার তাড়াহুড়োয় 'আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স' (AI) মডেলগুলি ঠিকমতো পরীক্ষা না করেই ব্যবহার করছে। আর এমনটা করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, AI মডেলগুলি ঠিক করে কাজ করছে না। এমনকি বিনাকারণেই বহু সংবাদ প্রকাশক এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে কপিরাইট ভায়োলেশন বা লঙ্ঘনের রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। যার দরুন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে সংবাদ প্রকাশক এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের এই পরিস্থিতির থেকে বাঁচাতে ভারত সরকার একটি নতুন আইন আনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইটি এবং টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় যে, প্রত্যেকটি টেক সংস্থাকে তাদের অ-পরীক্ষিত মডেলগুলি রোলআউট করার আগে বাধ্যতামূলকভাবে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর থেকেই তা অত্যন্ত আলোচিত হয়। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে সংবাদ প্রকাশক এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা নিজেদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে বারংবার এই বিষয়ক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করে। যেকারণেই হয়তো ভারত সরকার নতুন আইন প্রণয়নের জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছে।
সংবাদ প্রকাশক এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের সুরক্ষার জন্য নয়া আইন নিয়ে আসবে ভারত সরকার
একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় আইটি এবং টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) আশ্বাস দিয়েছে যে, নতুন এআই আইন প্রণয়ন করা হলে তার জন্য উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে আইনটি, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, সংবাদ প্রকাশক এবং 'লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল' (LLMs) -এর মতো এআই প্রযুক্তি বিকাশকারী সংস্থাগুলির মধ্যে অধিকার সুরক্ষিত করা ও আয় ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অশ্বিনী মহাশয় আরও বলেছেন যে, "বর্তমানে প্রযুক্তির জগতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। আমাদের লক্ষ্য হল, প্রযুক্তিগত রূপান্তর যেন ব্যাহত না হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত লক্ষ্যাধিক মানুষের জীবিকা যাতে প্রভাবিত না হয় উভয় দিকেই খেয়াল রাখা।"
নতুন এআই আইনকে হয়তো 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাক্ট' (Digital India Act) -এর অংশ হিসাবে নিয়ে আসা হতে পারে, যা 2000 সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনকে বাতিল করার লক্ষ্যে গত বছর প্রস্তাবিত হয়েছিল। যদিও এক্ষুনি নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।