Methanol: পেট্রোল, ডিজেল, ইথানলের চেয়েও সস্তা ও কম দূষণ সৃষ্টিকারী জ্বালানি হিসেবে মিথানল ব্যবহারের পরিকল্পনা কেন্দ্রের

পরিবেশ দূষণ কমানো এবং পেট্রল-ডিজেলের আমদানি হ্রাস’কে পাখির চোখ করেছে ভারত সরকার। আসলে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের লক্ষ্য বিকল্প জ্বালানির দিকে। যার মধ্যে রয়েছে ইথানল, মিথানল,…

পরিবেশ দূষণ কমানো এবং পেট্রল-ডিজেলের আমদানি হ্রাস’কে পাখির চোখ করেছে ভারত সরকার। আসলে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের লক্ষ্য বিকল্প জ্বালানির দিকে। যার মধ্যে রয়েছে ইথানল, মিথানল, সিএনজি, এলএনজি, গ্রীন হাইড্রোজেন ইত্যাদি। আসলে এসবের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে স্বভাবতই পেট্রোল-ডিজেলের চাহিদাও কমবে, ফলে তা আমদানিও করতে হবে কম, এতে বাঁচবে রাজকোষ। এতদিন কেন্দ্রের মুখে বিভিন্ন জ্বালানির কথা শোনা গেলেও এবার মিথানল (Methanol)-কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে দেখা গেল। এবারে অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণ এবং সেনাবাহিনীর ট্রাক চালানোর জন্য মিথানল-কে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা জানা গেছে।

ইতিমধ্যেই পুণের সংস্থা Deccan Water Treatment Pvt. Ltd. এর সাথে ডিজেল ইঞ্জিনকে মিথানলে পরিবর্তিত করার প্রসঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। দেশের সরকারের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে ডেকান ওয়াটার ট্রিটমেন্ট। এদিকে পুণের সংস্থাটি আবার ScandiNAOS নামক এক সুইডিশ সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

এবার আসা যাক মিথানলের প্রসঙ্গে। সরকারের দাবি, মিথানল একটি কম-কার্বন যুক্ত, হাইড্রোজেন বাহক জ্বালানি, যা কাঠকয়লা, চাষবাসের উচ্ছিষ্ট, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রস্তুত করা হয়। অন্যদিকে এর দাম পেট্রল, ডিজেল এমনকি ইথানলের চাইতেও কম।

তাই যদি ইথানলের ব্যবহার বাড়ানো যায়, তবে প্যারিস ক্লাইমেট কনফারেন্সে ভারত সরকারের দেওয়া ‘তেলের আমদানি কমানোর’ প্রতিশ্রুতি পরোক্ষভাবে রক্ষা পায়। পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া, উত্তরপ্রদেশের বারাণসি এবং এলাহাবাদে এই অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে সরকারি সূত্রের খবর।

নীতি আয়োগ (NITI Aayog)-এর লক্ষ্য জ্বালানি তেলের ব্যবহার ২০% কমিয়ে তার পরিবর্তে মিথানলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা। এর ফলে দেশের পরিবেশ দূষণের মাত্রা ৪০% কম হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের ৫০০টি রণতরী সম্পূর্ণভাবে মিথানল জ্বালানি নির্ভর করা হবে। ফলে এই ধরনের যানবাহন থেকে নির্গত দূষণকারী পদার্থ সমুদ্রের জলে আর মিশবে না।

হিসাবে দেখা গেছে, ভারতে এক লিটার গ্যাসোলিনের দাম ৯৪.৪৯ টাকা। এই গ্যাসোলিনের দামের উপর ভিত্তি করে সমস্ত কর সহ ইথানলের দাম ৬৯.৯ টাকা। যেখানে মিথানলের দাম পড়ছে ৩৭.৬ টাকা।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন