PLI স্কিমের রেকর্ড! 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ফোন রপ্তানির পরিমাণ পৌঁছালো ৬ বিলিয়নের কাছাকাছিতে
বিশ্বের দরবারে ভারতকে তুলে ধরতে বছর দুয়েক আগে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর...বিশ্বের দরবারে ভারতকে তুলে ধরতে বছর দুয়েক আগে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর একটি অংশ হিসেবে দেশীয় স্তরে স্মার্টফোন তৈরির জন্য তিনি প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনিশিয়েটিভ বা পিএলআই (PLI) স্কিমের কথাও ঘোষণা করেছিলেন। ইতিমধ্যেই এই স্কিমের সাহায্যে দেশীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে সম্প্রতি এক রিপোর্টে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গেছে যে, সরকারের প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ স্কিমের সহায়তায় চলতি অর্থবছরে ভারতের মোবাইল ফোন রপ্তানির পরিমাণ ৪৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
শিল্প সংস্থা ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন বা আইসিইএ (ICEA) জানিয়েছে যে, চলতি অর্থবছরে ভারতের মোবাইল ফোন রপ্তানি এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা) দাঁড়িয়েছে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষে এই সংখ্যাটি ছিল ৩.১৬ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা)। আর সামগ্রিক হালহকিকত দেখে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, আগামী দিনেও পিএলআই স্কিমের সহায়তায় মুনাফার অঙ্ক উত্তরোত্তর বেড়েই চলবে।
ভারতের মোবাইল ফোন রপ্তানি ৬ বিলিয়নের গন্ডিতে পৌঁছাবে
আইসিইএ-র চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহেন্দ্রু জানিয়েছেন যে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের মোবাইল ফোন রপ্তানি খুব সহজেই ৫.৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আইসিইএ-এর মতে, অ্যাপল (Apple) এবং স্যামসাং (Samsung)-এর মোবাইল ফোনগুলি ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করা হয়েছে এবং এর ফলে দেশের বাইরে শিপমেন্টের সংখ্যাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য , এর আগে ভারত থেকে দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মোবাইল ফোন রপ্তানি করা হতো। তবে এখন কোম্পানিগুলি মূলত নজর দিচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়ার প্রতিযোগিতামূলক বাজারের দিকে। এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলিতে গুণগত মানের ওপর অনেক বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। আইসিইএ-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, ২০২০ সালে করোনার কারণে খানিকটা সমস্যা হলেও ২০২১ সালে কোম্পানিগুলি এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, মোবাইল ফোনের জন্য পিএলআই স্কিমটির ফায়দা মূলত পাঁচটি বিশ্বব্যাপী সংস্থা নিয়ে থাকে। এগুলি হল Samsung, Foxconn, Rising Star, Wiston, এবং Pegatron। অন্যদিকে, ভারতীয় সংস্থাগুলির কথা বলতে গেলে Lava, Bhagwati (Micromax), UTL Neolync, এবং Optimus Electronics প্রধানত প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিমের সুবিধা গ্রহণ করে।