Tata, Mahindra-দের পিছনে ফেলে ভারতে চালকবিহীন গাড়ি তৈরি করে চমকে দিল পড়ুয়ারা

বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং স্বয়ংক্রিয় সঞ্চালন ব্যবস্থা (সেল্ফ-ড্রাইভিং প্রযুক্তি) – এই দুই বিষয়কে বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছে বিশ্বের অটোমোবাইল শিল্প। প্রচলিত গাড়ির বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং…

বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং স্বয়ংক্রিয় সঞ্চালন ব্যবস্থা (সেল্ফ-ড্রাইভিং প্রযুক্তি) – এই দুই বিষয়কে বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছে বিশ্বের অটোমোবাইল শিল্প। প্রচলিত গাড়ির বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং চালকযুক্ত গাড়ির বদলে চালকবিহীন গাড়ির বিকাশে মগ্ন বিশ্বের নামজাদা সব সংস্থা এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ভারতও এর ব্যতীক্রম নয়! তবে, তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এবার পুনের এমআইটি ওয়ার্ল্ড পিস ইউনিভার্সিটি (MIT World Peace University)-র একদল পড়ুয়াদের হাতেই তৈরি হল বিদ্যুতচালিত চালকহীন চারচাকা গাড়ি।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা হয়েছে এই স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে, যাতে মানুষের ত্রুটির কারণে দূর্ঘটনা ও মৃত্যু কমানো যায়। এমআইটি ওয়ার্ল্ড পিস ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, এবং টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের পড়ুয়ারা রিসার্চ প্রজেক্ট হিসেবে গাড়িটি তৈরি করেছেন।

চালকবিহীন বৈদ্যুতিক গাড়িটি লেভেল থ্রি অটোনোমির উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। অর্থাৎ, গাড়ি রাস্তার হাল হকিকত এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বুঝে আপনাআপনি চলবে। এ কাজে সে বিভিন্ন ড্রাইভার অ্যাসিট্যান্স সিস্টেম এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তা নেবে। গাড়ির ইলেকট্রিক পাওয়ারট্রেন প্রস্তুত করার জন্য, ওই পড়ুয়ারা একটি বিএলডিসি মোটর এবং লিথিয়াম আয়ন ফসফেট ব্যাটারি ব্যবহার করেছেন।

পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, গাড়ির স্টিয়ারিং, থ্রটল, এবং ব্রেক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম বা গাণিতিক পরিভাষা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এছাড়াও, গাড়িতে একগুচ্ছ সেন্সর, লিডার (LiDAR) ক্যামেরা, মাইক্রোপ্রসেসর, অটোমেটেড অ্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম, ইত্যাদি রয়েছে।

গাড়ি প্রস্তুতকারী পড়ুয়াদের দাবি, বিদ্যুতচালিত চালকহীন গাড়িটি একবার চার্জ দিলে পাড়ি দেওয়া যাবে ৪০ কিলোমিটার পথ। ঘন্টা চারেকর মধ্যে গাড়ির ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে। পরিবহন, কৃষিক্ষেত্র, মাইনিং-সহ নানা ক্ষেত্রে এই গাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা এক অধ্যাপক বলেছেন, এই ধরনের গাড়ি কাছাকাছি বিভিন্ন জায়গা থেকে মেট্রো স্টেশনে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। আবার বিমানবন্দরে, গল্ফের ময়দানে, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে চালানোর জন্য এই গাড়ি উপযুক্ত।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন