WhatsApp ব্যবহারকারীরা সাবধান, ভিয়েতনামের হ্যাকাররা নতুন কায়দায় ফাঁদে ফেলতে পারে আপনাকে
ক্লাউডসেকের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মাওরিসবট নামে একটি নতুন ম্যালওয়্যার আবির্ভূত হয়েছে এবং ভিয়েতনামী হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এটি ব্যবহার করছে।
জনপ্রিয় ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের বৃহত্তম ব্যবহারকারী বেস ভারতবর্ষে উপস্থিত, যে কারণে হ্যাকাররা বেশিরভাগ সময় নিজেদের শিকার হিসেবে ভারতীয়দের বেছে নেয়। আর এর জন্য তারা প্রত্যেকবারই ভিন্ন ভিন্ন কৌশলও অবলম্বন করে থাকে। সম্প্রতি এমনই একটি নতুন ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ জালিয়াতি আবির্ভূত হয়েছে। যেখানে মাওরিসবট নামের একটি ম্যালওয়ারের সাহায্যে ভিয়েতনামী হ্যাকাররা ভারতীয় ব্যবহারকারীদের টার্গেট করছে।
ক্লাউডসেকের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মাওরিসবট নামে একটি নতুন ম্যালওয়্যার আবির্ভূত হয়েছে এবং ভিয়েতনামী হ্যাকাররা এটি ব্যবহার করছে। সংস্থাটি আরো বলেছে যে, এটি একটি বিশেষ ধরনের টেকনিক্যাল অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার, যার মাধ্যমে হ্যাকাররা ভারতীয় নাগরিকদের ভুয়ো ট্রাফিক ই-চালানের নামে ফাঁদে ফেলছে। আর এই চালান মেটা মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তারা ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠাচ্ছে।
কিভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে?
স্ক্যামাররা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে জাল ই-চালান পাঠিয়ে তাদের চালান পরিশোধ করার নির্দেশ দিচ্ছে। ওই মেসেজগুলিতে একটি ইউআরএল বা এপিকে ফাইলও সংযুক্ত করা থাকছে। আর যদি কোনো ব্যবহারকারী সেই লিঙ্কে ট্যাপ করে বা ফাইল ডাউনলোড করে তাহলে সহজেই স্ক্যামাররা ব্যবহারকারীর ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায় এবং নানান ভাবে ব্যবহারকারীর ক্ষতি করে।
সাইবার সিকিউরিটি সংস্থার মতে স্ক্যামাররা তাদের পরিচয় গোপন করার জন্য প্রক্সি আইপি এবং লো-রেজিস্ট্রেশন প্রোফাইল ব্যবহার করে। আর এযাবৎ তারা এই ম্যালওয়্যারের সাহায্যে প্রায় ৪,৫০০ টি ডিভাইস ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং প্রায় ১৬ লক্ষ টাকারও বেশি চুরি করেছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনার ফলে বর্তমানে গুজরাট এবং কর্নাটকের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কোন কোন সতর্কতা অবলম্বন করবেন?
বিশেষজ্ঞরা সর্বদা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার থেকে দূরে থাকতে বলছেন এবং এর জন্য তারা ব্যবহারকারীদের অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি, তারা যেকোনো অ্যাপকে ডিভাইস অ্যাক্সেসের অনুমতি দেবার আগে সর্বদা সতর্ক থাকতে বলেছেন। আর ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যে, হোয়াটসঅ্যাপে কোনো ধরনের চালান পাঠানো হয় না, তাই এই ধরনের মেসেজ এলে কখনোই বিশ্বাস করবেন না। এছাড়াও, কোনো অজানা লিঙ্কে ক্লিক করলে এবং কোনো এপিএফ ফাইল ডাউনলোড করলে সেটা ব্যবহারকারীর পক্ষে ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। তাই এই ধরনের মেসেজে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না এবং কোনো ধরনের ফাইল ডাউনলোড করবেন না।
ক্লাউডসেকের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মাওরিসবট নামে একটি নতুন ম্যালওয়্যার আবির্ভূত হয়েছে এবং ভিয়েতনামী হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এটি ব্যবহার করছে।