মেড-ইন-ইন্ডিয়া ইলেকট্রিক বাইক পাড়ি দিচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে, আটটি দেশে রপ্তানি শুরু দেশীয় সংস্থার

ভারত পেরিয়ে এবার বিশ্বের আটটি শহরে ব্যবসা শুরু করল নয়ডার ইলেকট্রিক টু-হুইলার স্টার্টআপ ওয়ান ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলস (One Electric Motorcycles)। সম্প্রতি সংস্থাটি ঘোষণা করেছে তারা আটটি…

ভারত পেরিয়ে এবার বিশ্বের আটটি শহরে ব্যবসা শুরু করল নয়ডার ইলেকট্রিক টু-হুইলার স্টার্টআপ ওয়ান ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলস (One Electric Motorcycles)। সম্প্রতি সংস্থাটি ঘোষণা করেছে তারা আটটি দেশে তাদের বৈদ্যুতিক বাইক KRIDN-এর রপ্তানি শুরু করেছে। আফ্রিকার পাঁচটি দেশ বাদে আমেরিকা এবং নেপাল সহ মধ্য প্রাচ্যে মোটরসাইকেলের ট্রায়াল শুরু করেছে সংস্থাটি। এ বছরের মধ্যে তিনটি মহাদেশে প্রতি মাসে ২০,০০০টি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

ওয়ান ইলেকট্রিক জানিয়েছে, ভারত এবং আফ্রিকার বাজারে ই-মোটরসাইকেলের চাহিদা প্রায় একই। কিন্তু মধ্য প্রাচ্যে ব্যবসা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রসঙ্গে সংস্থার সিইও গৌরভ উপ্পাল বলেন, “মধ্য প্র্যাচ্যের বাজারে কেবলমাত্র ১০০ কিমি/ঘন্টার অবিরাম গতিবেগ নয়, আবার ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কর্মক্ষম হওয়া উচিত।”

যদিও ওয়ান ইলেকট্রিক তাদের মোটরসাইকেলের শীতলীকরণ ব্যবস্থার উপর ভরসা রেখেছে। এই প্রসঙ্গে সংস্থাটি জানিয়েছে, “প্রত্যেক অঞ্চলের একটি নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা এবং চ্যালেঞ্জ থাকে। আমাদের ডিজাইন পরিকাঠামো এই পরিবর্তন দ্রুত গ্রহণ করার সক্ষমতা দেয়।” আবার এলাকা ভেদে পাওয়ারট্রেনের চাহিদাও বদলে যায়। যা সামাল দিতে তারা হাব ও মিড-ড্রাইভ দুই ধরনের মোটর ব্যবহার করবে।

প্রসঙ্গত, সংস্থার লঞ্চ করা এবং বিভিন্ন দেশে রপ্তানি চলতে থাকা One KRIDN-এ রয়েছে একটি ৩ কিলোওয়াট লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। যা এর ইলেকট্রিক মোটর থেকে সর্বোচ্চ ৫.৫ কিলোওয়াট শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। বাইকটির রেঞ্জ ৮০ কিমি। তবে ইকো মোডে ১১০ কিলোমিটারের বেশি রেঞ্জ মেলে বলে দাবি সংস্থার। ০-৬০ কিমি/ঘন্টার গতিবেগ তুলতে সময় লাগে ৮ সেকেন্ড। সামনে টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক এবং পেছনে হাইড্রোলিক সাসপেনশন সহ দু’চাকায় আছে টিউবলেস টায়ার।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন