কমবয়েসী ইউজারদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখবে Instagram, বড় ঘোষণা সংস্থার কর্মকর্তার

ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোন জাতীয় ডিভাইসের সহজলভ্যতার কারণে, এখন ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্মের একাংশই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে অবাধ বিচরণ করছে। অভিভাবকদের পক্ষেও এই বিষয়টি…

ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোন জাতীয় ডিভাইসের সহজলভ্যতার কারণে, এখন ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্মের একাংশই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে অবাধ বিচরণ করছে। অভিভাবকদের পক্ষেও এই বিষয়টি সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কৈশোর হারিয়ে যাচ্ছে অন্তর্জালের (ইন্টারনেট) মধ্যে। তবে এই পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক রাখতে, এবার জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট Instagram (ইনস্টাগ্রাম) মাঠে নামছে বলে মনে হচ্ছে। আসলে সম্প্রতি Facebook (ফেসবুক)-এর মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি একটি নতুন ফিচার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা কমবয়েসী ইউজারদের ক্ষতিকর কন্টেন্ট থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে এবং Instagram ব্যবহার থেকে বিরতি নিতে উৎসাহিত করবে। মূলত Facebook কর্তৃক তরুণ প্রজন্মের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দাবি সামনে আসার পরেই, সংস্থার গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট (গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স) নিক ক্লেগ উক্ত ফিচারের ঘোষণা করেছেন।

ঠিক কীভাবে কাজ করবে Instagram-এর নয়া ফিচার?

আসন্ন ফিচারটি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, ক্লেগ, সিএনএন-এর স্টেট অফ দ্য ইউনিয়নে জানিয়েছেন যে ইনস্টাগ্রাম এবার নতুন কিছু করার বা প্ল্যাটফর্মে কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে। এক্ষেত্রে মূলত কিশোর-কিশোরীদের অনুকূল কন্টেন্টের উপলভ্যতার দিকে নজর দেওয়া হবে বলেই তাঁর মত। তবে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, সংস্থাটি এমন একটি ফিচার নিয়ে কাজ করছে যা এই জাতীয় ইউজারদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বিরতি বা ব্রেক প্রদানের উদ্দেশ্যে বিদ্যমান হবে। যদিও, ঠিক কবে এই ফিচারগুলি কার্যকরী হবে – সে বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট তথ্য মেলেনি।

উল্লেখ্য, এর আগে ইনস্টাগ্রামের হেড অ্যাডাম মোসেরি ‘টেক এ ব্রেক’ নামক একটি ফিচারের কথা বলেছিলেন। ডিজিটাল দুনিয়ার বাইরে বেরিয়ে ইউজারদের সামাজিক জীবনে সময় কাটাতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই এই ফিচার আনা হবে বলে তাঁর অভিমত ছিল।

আসলে, ফ্রান্সিস হাউজেন নামে সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মচারীর গুরুতর অভিযোগ এবং সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির প্রেক্ষিতেই ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম এখন আরো সজাগ হতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে। ফ্রান্সিস, সেনেট কমিটির সামনে এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং কিশোরদের জন্য বিষাক্ত পরিবেশ তৈরির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ফেসবুক/ইনস্টাগ্রামে কিশোর-কিশোরীদের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ার কথা জানলেও সেটি নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ১৩ বছরের কমবয়সী ইউজারদের জন্য বিশেষ একটি পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করেছিল ইনস্টাগ্রাম। কিন্তু শিশু সুরক্ষা সমর্থকদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার জেরে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে জনপ্রিয় ফটো-ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমটি।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন