সাপ্লাই চেনে সমস্যা, পিছতে পারে iPhone 14 সিরিজের লঞ্চের সময়?

অ্যাপল (Apple)-এর পরবর্তী প্রজন্মের iPhone 14 ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন সিরিজটি সংস্থার প্রথা মতো আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববাজারে লঞ্চ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও…

অ্যাপল (Apple)-এর পরবর্তী প্রজন্মের iPhone 14 ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন সিরিজটি সংস্থার প্রথা মতো আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববাজারে লঞ্চ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও অ্যাপল অনুরাগীদের মধ্যে সিরিজটি নিয়ে বহুদিন আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই লাইনআপের অধীনে iPhone 14, 14 Pro, 14 Max এবং 14 Pro Max- এই চারটি মডেল বাজারে আত্মপ্রকাশ করবে বলেও জানা গেছে। সম্প্রতি অ্যাপল আসন্ন সিরিজটির ট্রায়াল প্রোডাকশনও শুরু করে দিয়েছে এবং আগামী মাস থেকে এর মাস প্রোডাকশন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখন এক সাপ্লাই চেইন বিশ্লেষক জানিয়েছেন যে, ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে উপাদানের ঘাটতির ফলে iPhone 14 Max মডেলটির উৎপাদন পিছিয়ে রয়েছে।

Apple iPhone 14 Max-কে সাপ্লাই চেইন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে

জানা গেছে, পূর্বসূরি আইফোন ১৩-এর মতোই আসন্ন আইফোন ১৪ সিরিজের অধীনে চারটি ভিন্ন মডেল বাজারে আসবে। তবে, এই লাইনআপে অন্তর্ভুক্ত থাকবে না ‘মিনি’ মডেলটি। তার পরিবর্তে বড়ো আকারের ‘ম্যাক্স’ মডেলটি হয়ে উঠবে আসন্ন সিরিজটির অন্যতম আকর্ষণ। ফলে চলতি বছরের আইফোন সিরিজে দুটি বড় আকারের মডেল দেখা যাবে- আইফোন ১৪ ম্যাক্স এবং আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স, যা স্বাভাবিকভাবেই পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কম্পোনেন্ট সেফটিকে আরও কঠিন করে তুলবে। বিখ্যাত ডিসপ্লে সাপ্লাই বিশেষজ্ঞ রস ইয়ং-এর মতে, এই প্রয়োজনীয়তার কারণেই আইফোন ১৪ ম্যাক্সের উৎপাদন নির্ধারিত সময়ের পিছনে চলছে।

প্রসঙ্গত, রস ইয়ং তার একটি সাম্প্রতিক টুইটে (শুধুমাত্র সুপার ফলোয়ারদের জন্য উপলব্ধ) জানিয়েছেন যে, আইফোন ১৪ ম্যাক্সের ডিসপ্লে প্যানেলের সরবরাহ পিছিয়ে গেছে, যদিও প্রো সংস্করণগুলির সরবরাহ প্রভাবিত হয়নি৷ উল্লেখযোগ্যভাবে, স্ট্যান্ডার্ড আইফোন ১৪ ম্যাক্স উৎপাদন প্রক্রিয়ার গতি ধীর করে দিচ্ছে কারণ এতে প্রো মডেলের চেয়ে আলাদা ডিসপ্লে রয়েছে। আইফোন ‘প্রো’ মডেলগুলিতে অ্যাপলের সামঞ্জস্যযোগ্য রিফ্রেশ রেট প্রযুক্তি, প্রোমোশন (ProMotion) ব্যবহৃত হবে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স-এ ১২০ হার্টজ অ্যাডাপটিভ রিফ্রেশ রেট থাকবে, যেখানে স্বাভাবিক ম্যাক্স মডেলের রিফ্রেশ রেট হবে ৬০ হার্টজ। তবে, মার্কিন সংস্থাটির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আইফোন ১৪ ম্যাক্স-এর জন্য কোনো বিলম্বের কথা ঘোষণা করা হয়নি।

জানিয়ে রাখি, ‘নেক্সট জেনারেশন’ আইফোন তৈরির এই যাত্রা জুড়ে অ্যাপল অবশ্যই বেশ কিছু উত্থান-পতনের সম্মুখীন হয়েছে। তখন দেখা গেছে, প্রযুক্তি সংস্থাটিকে ডেডলাইনের মধ্যে সব কাজ পূরণ করার জন্য কিছু এডজাস্টমেন্ট করতে হয়েছে। গত মে মাসে, যখন অ্যাপল পূর্ববর্তী স্মার্টফোনগুলির তুলনায় আরও ব্যয়বহুল ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরাব্ল নতুন মডেলগুলিতে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখনও রিপোর্ট করা হয়েছিল যে, সংস্থাটিকে সাপ্লাই চেইন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, iPhone 14 লাইনআপের দুটি বড়-ফরম্যাট ভ্যারিয়েন্ট (Max এবং Pro Max) উৎপাদন করার কারণ চীনের মতো দেশগুলিতে অ্যাপলের আন্তর্জাতিক বিক্রয় বাড়ানো। কেননা এই সব দেশে বড়-স্ক্রিনের স্মার্টফোনগুলির চাহিদা সবচেয়ে বেশি।