বৈদ্যুতিক যানবাহনের পেছনে ছুটছে সমগ্র বিশ্ব। কারণ পরিবেশ দূষণের সাথে মোকাবিলা করতে এর ব্যবহার বাড়ানোই একমাত্র উপায়। পরিবেশ দূষণের জন্য প্রথাগত জ্বালানি চালিত যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বহুলাংশে দায়ী। যা রুখতে পারলে দূষণের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে। সাথে জলবায়ুর পরিবর্তন ও বিশ্ব উষ্ণায়নের মত পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবের গতিও শ্লথ করা যাবে।
সে কারণে ইদানিং অসংখ্য দেশের প্রশাসন চাইছে দেশবাসীর কাছে যেনতেন প্রকারে বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে। যেই পথে প্রধান বাধা দান করছে ইলেকট্রিক গাড়ির আকাশছোঁয়া মূল্য। পাশাপাশি গোদের ওপর বিষফোঁড়ার আকার নিচ্ছে অপর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশন। তাই বৈদ্যুতিক যানবাহনকে সকল স্তরের মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছাতে নানান দেশের সরকার একপ্রকার বাধ্য হয়েই ইভি পলিসি চালু করছে। যেখানে ইলেকট্রিক ভেহিকেল কিনলে কর ছাড়, ভর্তুকি সহ মিলছে একাধিক সুযোগ সুবিধা। পাশাপাশি চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা বাড়াতেও উঠে পড়ে লেগেছে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি।
এবার সেই পথে হেঁটে নতুন বৈদ্যুতিক যানবাহন কিনতে ইচ্ছুকদের ৬ হাজার ইউরো (প্রায় ৫.০৪ লক্ষ টাকা) ভর্তুকি প্রদানের পরিকল্পনা করছে ইতালি (Italy)৷ দেশের গাড়ি শিল্পকে চাঙ্গা করাও ওই ভাবনার অপর অঙ্গ৷ যার ফলে আগামীতে দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির গতি ত্বরান্বিত হবে বলে আশাবাদী ইতালি প্রশাসন।
এদিকে দেশের রাজধানী রোম ২০৩০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে আসতে ৮৭০ কোটি ইউরো বরাদ্দ করে রেখেছে। এ বছরের জন্য সেই বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৭০ কোটি ইউরো। নতুন বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার শর্তসাপেক্ষে বলা হয়েছে ৩৫,০০০ ইউরো মূল্যের গাড়ি কিনলে, তবেই মিলবে ৬,০০০ ইউরো ভর্তুকি। আবার নিজের পুরনো গাড়িটি স্ক্র্যাপেজের জন্য মিলবে অতিরিক্ত ২,০০০ ইউরো।
আবার আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৪৫,০০০ ইউরো মূল্যের হাইব্রিড ইলেকট্রিক গাড়ি কিনলে দেওয়া হবে ২,৫০০ ইউরো ভর্তুকি। এছাড়া পেট্রল/ডিজেল ইঞ্জিনের গাড়ি স্ক্র্যাপ করলে সরকারের তরফে ইউরো-৬ বিধি অনুযায়ী পাওয়া যাবে ১,২৫০ ইউরোর আর্থিক সুবিধা।