Space: সম্ভব হবে চাঁদে বসবাস ও ভ্রমণ! যুগান্তকারী আবিষ্কারের কাজে ব্যস্ত জাপানের বিজ্ঞানীরা

যত সময় যাচ্ছে, ততই মহাকাশের রহস্য একটু একটু করে পৃথিবীবাসী মানবজাতির মুঠোর মধ্যে আসছে। যে চাঁদকে মানুষ নানাভাবে মননে...
Anwesha Nandi 13 July 2022 4:40 PM IST

যত সময় যাচ্ছে, ততই মহাকাশের রহস্য একটু একটু করে পৃথিবীবাসী মানবজাতির মুঠোর মধ্যে আসছে। যে চাঁদকে মানুষ নানাভাবে মননে স্থান দিয়েছে, পৃথিবীর সেই উপগ্রহেই সে অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতির ফলেও বর্তমানে চন্দ্রপৃষ্ঠে হাঁটা বা বাস করা সম্ভব হয়নি, এর কারণ চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কমতি। প্রকৃতপক্ষে, চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে পৃথিবীর তুলনায় অনেক কম মহাকর্ষ বল কাজ করে, যা এই দুই মহাজাগতিক স্থানে পৌঁছানো মানুষের ওজন হ্রাস করে। এতে মানুষ চাঁদের পৃষ্ঠে হাঁটার বদলে ভেসে বেড়ায়। তবে এবার এই সমস্যার এমন এক সমাধান খুঁজে পেয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা, যার সাহায্যে হয়ত খুব শীঘ্রই চাঁদ ও মঙ্গলে বসবাস করা যেতে পারে।

চাঁদ সম্পর্কিত গবেষণায় সাফল্য পেয়েছে জাপান

সম্প্রতি জাপানি গবেষক ও প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার)-রা দাবি করেছেন যে, তারা চাঁদ ও মঙ্গলের উক্ত মাধ্যাকর্ষণ সমস্যার সমাধান করেছেন। কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চার-ইঞ্জিনিয়ার এবং কাজিমা কর্পোরেশনের পক্ষে এই বিষয়ে একটি যৌথ প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। আবিষ্কৃত সমাধানের সাহায্যে চাঁদে আরামসে বসবাস করা যাবে বলেই এই প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে।

কীভাবে চাঁদ বা মঙ্গলে বসবাস করা সম্ভব হবে?

জাপানের বিজ্ঞানীদের দাবি, তারা একটি বিশেষ ধরনের কাঁচ তৈরি করছেন যাতে চাঁদে পৃথিবীর মত মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অর্জন করা যায়। ২১ শতকের শেষ নাগাদ এই 'লুনার গ্লাস' তৈরির কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছেন তারা। এছাড়া তাদের দ্বিতীয় হাতিয়ার হল কোর বায়োম কমপ্লেক্স (Core Biome Complex), এটির মাধ্যমে মহাকাশে উপযুক্ত ইকোসিস্টেম তৈরি করা হবে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, লুনার গ্লাস এবং মার্স গ্লাস স্ট্রাকচারের দ্বারা চাঁদ ও মঙ্গলে একটি বিশেষ ধরনের বাড়ি তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে মানুষের বসবাস সম্ভব হবে। এই ইকোসিস্টেমের তৃতীয় চমক হল হেক্সাগন স্পেস ট্র্যাক (Hexagon Space Track) বা হেক্সা ট্র্যাক। এটি একটি উচ্চ গতির পরিবহন পরিকাঠামো হবে, যার সাহায্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যাবে।

সব মিলিয়ে জাপানের এই উদ্যোগ যে বেশ চমকপ্রদ এবং তাদের গবেষণা সফল হলে যে এক যুগান্তকারী দিক খুলে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই! এদিকে জাপানের মতই ধনকুবের ইলন মাস্কও চাঁদে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন, যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত তেমন সফলতা পাননি।

Show Full Article
Next Story