রক্ষক হতে পারে ভক্ষক, Kaspersky অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহারকারীদের সর্তক করল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি
রাশিয়া (Russia) ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়তে চলেছে সাইবার দুনিয়ায়। এমনটা বলার কারণ, জার্মান...রাশিয়া (Russia) ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়তে চলেছে সাইবার দুনিয়ায়। এমনটা বলার কারণ, জার্মান সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি BSI বা নামফেরে 'ফেডারেল সাইবার সিকিউরিটি অথরিটি' গত মঙ্গলবার বিশ্ববাসীকে - রাশিয়ার ক্যাসপারস্কি (Kaspersky) দ্বারা ডেভলপ করা অ্যান্টি-ভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ঘটা যুদ্ধে, ফার্মটি হ্যাকিং হামলায় জড়িত থাকতে পারে। তাই সমগ্র ইউক্রেনবাসী তথা এই সফ্টওয়্যার ব্যবহারকারীদের আগাম সতর্ক করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে, রাশিয়ার সামরিক ও গোয়েন্দা তৎপরতা এখন কি রূপ ধারণ করেছে তা কারোরই অজানা নয়। একই সাথে, ইউক্রেনের মিত্র-বাহিনী, EU (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) এবং NATO (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) -এর প্রতি ভ্লাদিমির পুতিন শাসনাধীন দেশের ভীতিপ্রদর্শন যথেষ্টই নজরে পড়ার মতো। বিশেষ করে জার্মানির সাথে রাশিয়ার সম্পর্কে এখন বেশ টালমাটাল। যার অর্থ হল, এই সকল দেশে "একটি সফল আইটি আক্রমণের যথেষ্ট ঝুঁকি" আছে, সাম্প্রতিক একটি বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে 'ফেডারেল সাইবার সিকিউরিটি অথরিটি' ওরফে BSI।
এক্ষেত্রে, জার্মান সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সিটি বলেছে যে,"একজন রাশিয়ান আইটি ম্যানুফ্যাকচারার নিজেই আক্রমণাত্মক অপারেশন চালাতে পারে। এমনকি তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে টার্গেট সিস্টেমে আক্রমণ করতে বাধ্য করা হতে পারে, বা নিজের অজান্তেই সাইবার অপারেশনের শিকার হিসাবে গুপ্তচরবৃত্তি করানো যেতে পারে তাকে দিয়ে। অথবা, নিজের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে আক্রমণের হাতিয়ার হিসাবে তাকে অপব্যবহার করা হতে পারে।” সংস্থাটি আরো বলেছে যে, "কোম্পানি এবং ক্রিটিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অপারেটরগুলি বিশেষত আক্রমণের লক্ষে আছে, কিন্তু স্বতন্ত্র ব্যক্তিরাও এই সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারেন।"
প্রসঙ্গত, আমেরিকা ২০১৭ সালের প্রথম দিকে সরকারী সংস্থাগুলির জন্য ক্যাসপারস্কি সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করেছিল৷ যদিও, ক্যাসপারস্কি আগাগোড়াই ক্রেমলিনের সাথে কাজ করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি 'ফার্স্ট ওয়ার্ড কান্ট্রি' এই অ্যান্টি-ভাইরাস সফ্টওয়্যারটি ব্যান করার পর, ব্যবসায়িক দিক থেকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ক্যাসপারস্কি। কেননা, এই নিষেধাজ্ঞা এমন সময়ে কার্যকর করা হয়েছিল, যখন সংস্থাটির সফ্টওয়্যার বিশ্বব্যাপী কয়েক মিলিয়ন কম্পিউটারে ইনস্টল করা হয়েছিল।
যাইহোক, জার্মানি এর আগেও বারংবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছিল। সেক্ষেত্রে, রাশিয়ান হ্যাকার পরিচালিত সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৫ সালে। তৎকালীন সময়ে, সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে সংসদের নিম্নকক্ষ, বুন্ডেস্ট্যাগের কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছিল। যার দরুন পুরো সরকারি প্রতিষ্ঠানটি কয়েক দিনের জন্য অফলাইনে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিল। যদিও, রাশিয়া এই ধরনের কার্যকলাপের নেপথ্যে থাকার কথা অস্বীকার করেছে।