Royal Enfield-এর মোকাবিলায় ভারতে ক্রুজার বাইক আনছে Keeway, লঞ্চ এই তারিখে
আরাম-আয়েশ করে যারা মোটরসাইকেল চালাতে পছন্দ করেন, ক্রুজার তাদের বরাবরই প্রিয়। আকারে বড় ও ওজনে ভারী হওয়ার কারণে এই ধরনের...আরাম-আয়েশ করে যারা মোটরসাইকেল চালাতে পছন্দ করেন, ক্রুজার তাদের বরাবরই প্রিয়। আকারে বড় ও ওজনে ভারী হওয়ার কারণে এই ধরনের বাইকের স্টাইল প্রথম দর্শনেই নজর কেড়ে নেয়। শক্তিশালী ইঞ্জিন, আরামপ্রদ সিটিং পজিশন, ভাল সাসপেনশন, প্রভৃতি কারণে একটানা দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে ক্রুজারের বিকল্প নেই। ভারতে এই ধরনের বাইকের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)-এর। আবার জাওয়া (Jawa) ও ইয়েজদি (Yezdi)-এর মতো পুরনো সংস্থাগুলির নতুনরূপে প্রত্যাবর্তন এই সেগমেন্টে লড়াই জমিয়েছে। যদিও রয়্যাল এনফিল্ডের দাপটে এতটুকুও ছেদ পড়েনি। দেশের ক্রুজার বাইকের মার্কেটে এবার তীব্র প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করতে এন্ট্রি নিচ্ছে হাঙ্গেরির সংস্থা কিওয়ে (Keeway)।
Keeway Cruiser
এই প্রথম ভারতে পা রাখতে চলেছে কিওয়ে। একটি ক্রুজার বাইক লঞ্চ করতে চলেছে তারা। বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে আগামী ১৭ মে উন্মোচিত হবে এটি। সংস্থাটির ব্লক-ইয়োর-ডেট ইনভাইট থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। যদিও কোন মডেল নিয়ে ভারতে পথ চলা শুরু করবে কিওয়ে, সে বিষয়ে এখনও খোলাখুলি কিছু জানায়নি তারা। তবে আভাস অবশ্যই পাওয়া গিয়েছে।
শিকড় হাঙ্গেরিতে হলেও বর্তমানে চীনা অটো জায়েন্ট কিউজে গোষ্ঠীর মালিকানাধীন কিওয়ে। এশিয়া, ইউরোপ, এবং দক্ষিণ আমেরিকায় এই ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে দু'চাকা গাড়ি বাজারজাত করে কিউজে গ্রুপ। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার পাশাপাশি ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও মোটরসাইকেল লঞ্চ করেছে কিওয়ে।এবার তাদের লক্ষ্য বিশ্বের বৃহত্তম টু-হুইলার মার্কেটে পাড়ি জমানো।
কিওয়ে মূলত ১২৫ সিসির ইঞ্জিন দিয়ে ছোট ক্রুজার, স্কুটার, নেকেড বাইক, এবং অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার তৈরির জন্য জনপ্রিয়। সংস্থাটির ক্রুজার বাইকের ডিজাইন হার্লে ডেভিডসন রোডস্টারের থেকে অনুপ্রাণিত হলেও আকারে ছোট। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিওয়ে ভারতে ক্রুজার বাইক আনছে ঠিকই, কিন্তু সেটি কেমন হবে?
Keeway K-Light
ব্লক ইয়োর ডেট আমন্ত্রণের পোস্টারের ডানদিকে তাকালে একটি ক্রুজারের স্কেচ লক্ষ্য করা যাবে। শুধু পেছন দিকটাই সেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্কেচ দেখে নিশ্চিত করা যায়, সেটি K-Light। তবে টুইন ব্যারেল এগজস্ট পাইপের উপস্থিতি ইঙ্গিত করছে, শক্তিশালী ইঞ্জিনের সাথে আসবে ক্রুজার বাইকটি। ১২৫ সিসির জায়গায় আরও বড় ও পাওয়ারফুল ৫০০ সিসি টুইন সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন পেতে পারে কে-লাইট। এ ক্ষেত্রে Benelli 502c আর্বান ক্রুজারের ইঞ্জিন ব্যবহার হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রসঙ্গত, ইতালির আইকনিক ব্র্যান্ড বেনেলি এখন কিওয়ের মালিক সংস্থা কিউজে গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায়।
বেনেলির ওই ইঞ্জিনের আউটপুট ৪৭ বিএইচপি ও ২৭ এনএম। তবে কিওয়ের আপকামিং কে-লাইট ক্রুজারে ইঞ্জিনটির অভ্যন্তরে অদলবদল ঘটতে পারে। যাকে কারিগরির ভাষায় বলে ইঞ্জিন টিউনিং। আবার Keeway K-Light ক্রুজারে Benelli Imperiale 400 রেট্রো মোটরসাইকেলের ৩৭৪ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার মোটর দেওয়া হবে বলেও জল্পনা শোনা যাচ্ছে। এটি সর্বোচ্চ ২০.৭ বিএইচপি ক্ষমতা এবং ২৯ এনএম টর্ক উৎপাদনে সক্ষম।
এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়, কে-লাইট মোটরসাইকেলের নির্মাণ এখানেই হবে নাকি আমদানি করা যন্ত্রাংশ ভারতে জুড়ে তৈরির পরিকল্পনা করছে কিওয়ে। আবার এ দেশে কারখানা গড়ে তোলার ব্যাপারে কিছু জানায়নি তারা। ফলে কিওয়ে কে-লাইট সম্পূর্ণ তৈরি করে ভারতে আমদানি করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যাক্স চাপানোর ফলে দাম বেশি পড়বে। K-Light কেমন মেকানিক্যাল স্পেসিফিকেশনের সাথে আসবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এতে ৫০০ সিসি টুইন ইঞ্জিন ব্যবহার হলে মূল্য ২.৫ থেকে ৩ লক্ষ টাকার (এক্স-শোরুম) কাছাকাছি ধার্য হতে পারে বলে অনুমান।