নাইজেরিয়ায় ব্যান Twitter, জায়গা নিতে হাজির ভারতের Koo

নাইজেরিয়ায় Twitter-এর জায়গা দখল করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল Koo। নাইজেরিয়ার সরকার সেদেশে Koo-এর প্রতিদ্বন্দ্বী Twitter-কে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যান করার কথা ঘোষণা করার একদিন পর,…

নাইজেরিয়ায় Twitter-এর জায়গা দখল করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল Koo। নাইজেরিয়ার সরকার সেদেশে Koo-এর প্রতিদ্বন্দ্বী Twitter-কে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যান করার কথা ঘোষণা করার একদিন পর, মেড ইন ইন্ডিয়া মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম Koo শনিবার জানিয়েছে যে, তারা এখন নাইজেরিয়ার মানুষদের জন্য উপলব্ধ। শুধু তাই নয়, সংস্থাটি তাদের প্ল্যাটফর্মে সেদেশের স্থানীয় ভাষা যুক্ত করতে আগ্রহী বলেও জানা গেছে। শনিবার Koo-তে একটি পোস্টে সংস্থার সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ নিশ্চিত করেছেন যে, প্ল্যাটফর্মটি এখন নাইজেরিয়ায় ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়া সংবাদ সংস্থা PTI কে তিনি বলেছেন, “ভাষাগত বৈচিত্র্যের দিক থেকে নাইজেরিয়া ভারতের মতো। এখানে শত শত আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। Koo-এর একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে এবং যেসব দেশে এর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেইসব জায়গায় এটি মাইক্রো ব্লগিং এনাবেল করবে। আমরা একটি স্কেলেবল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি, এবং প্ল্যাটফর্মটির গুণমান বৃদ্ধি করার ওপরও মনোনিবেশ করছি কেননা ইতিমধ্যেই এটি একাধিক দেশে ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ, এবং ভবিষ্যতে এটির আরও বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণের লক্ষ্যেও আমরা কাজ করছি।”

জানিয়ে রাখি, ফেডারেল সরকার কর্তৃক নাইজেরিয়ায় Twitter-এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও যে সকল নাইজেরিয়ানরা এখনও এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে নাইজেরিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বিচার মন্ত্রী আবুবাকর মালামি অবিলম্বে মামলা করার আদেশ দিয়েছেন। এই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে যাবতীয় নির্দেশিকা পাওয়ার পর নাইজেরিয়ার টেলিকম সংস্থাগুলিও শনিবার মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট প্ল্যাটফর্মটির সমস্ত রকম অ্যাক্সেস বন্ধ করে দিয়েছে।

তবে হঠাৎ করেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কি? নাইজেরিয়ার সরকার শুক্রবার বলেছে যে, Twitter, প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারির একটি টুইট ডিলিট করার দুই দিন পর তারা প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে, যাতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শাস্তি দেওয়ার হুমকির উল্লেখ ছিল। এই স্থগিতাদেশের বিষয়ে গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে Twitter-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, Koo গত বছর তার হোম মার্কেট ভারতে লঞ্চ হয়েছিল এবং দেশীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ভারতে Koo-এর জনপ্রিয়তা চরমে ওঠে। অ্যাপ্লিকেশনটি Google Play Store এবং App Store উভয়েই উপলব্ধ, এবং ইতিমধ্যেই ভারতে Koo, এর ডাউনলোড সংখ্যা ৫০,০০,০০০ ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি ভারতের নতুন আইটি নিয়ম (IT rules) মেনে চলতে অস্বীকার করাকে কেন্দ্র করে Twitter-এর সাথে ভারত সরকারের সংঘর্ষের পরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং সরকারী সংস্থা Koo-কে সাপোর্ট করার পরে (কারণ Koo সর্বপ্রথম এই নয়া নিয়মাবলী মেনে নিয়েছিল) সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত সরকার শনিবার একটি নোটিশ জারি করে Twitter-কে নতুন আইটি নিয়ম অবিলম্বে মেনে নেওয়ার শেষ সুযোগ দিয়েছে, এবং যদি Twitter তা না মেনে নেয় তাহলে ভারতে আরও বিপুলভাবে জাঁকিয়ে বসবে Koo।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন