Yamaha দুর্ধর্ষ ফিচার ও প্রযুক্তির সাথে 125cc বাইক আনল, কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে KTM 125 Duke
১২৫ সিসি মোটরসাইকেল সেগমেন্টে এবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে KTM। কারণ ইউরোপের বাজারে উন্মোচিত হয়েছে Yamaha MT125 এর...১২৫ সিসি মোটরসাইকেল সেগমেন্টে এবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে KTM। কারণ ইউরোপের বাজারে উন্মোচিত হয়েছে Yamaha MT125 এর আপডেটেড ভার্সন। নতুন সংস্করণের প্রচুর "ফার্স্ট ইন ক্লাস ফিচার্স" যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এমন কিছু বৈশিষ্ট্য এতে, যা সচরাচর এই সেগমেন্টের বাইকে দেখা মেলা ভার। সবমিলিয়ে Yamaha MT125 বাইকটি KTM 125 Duke কে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।
নতুন বাইকটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আপডেট হল ট্রাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম যা, ১২৫ সিসি মোটরবাইকে সত্যিই বিরল। যদিও কম ডিসপ্লেসমেন্ট যুক্ত বাইকের ক্ষেত্রে ট্রাকশন কন্ট্রোল প্রযুক্তি খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক বলেই মনে হয়। এর প্রয়োজন খুব একটা লাগবে না বললেই চলে। অধিক ডিসপ্লেসমেন্টের বাইকে দ্রুতগতির সঙ্গে ইঞ্জিনের আরপিএমকে সঠিক ছন্দে রাখতে প্রয়োজন হয় এই ট্রাকশন কন্ট্রোল সিস্টেমের।
বাইকটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেড হল নতুন পাঁচ ইঞ্চির টিএফটি ডিসপ্লে যুক্ত ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। এছাড়াও এই স্ক্রিনে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটির মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনের ফোন কল ও এসএমএসের নোটিফিকেশন মিলবে। তাছাড়াও বাইকের গতিবেগ, ওডোমিটার, ট্রিপ মিটার সহ একগুচ্ছ তথ্য স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।
এছাড়া MT125 এর বাকি বৈশিষ্ট্যগুলি প্রায় সবটাই অপরিবর্তিত রেখেছে ইয়ামাহা। আগের মতই ১২৪ সিসির লিকুইড কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত হবে এটি। যা ৯,০০০ আরপিএম গতিতে ১৫ বিএইচপি ও ৮,০০০ আরপিএম গতিতে ১১.৫ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। ইঞ্জিনের সাথে রয়েছে ৬- স্পিড গিয়ার বক্স।
উন্নত সাসপেনশনের জন্য বাইকটির সামনে ইউএসডি ফর্ক ও পিছনে মনোশক অ্যাবজর্ভার রয়েছে। উভয় চাকাতেই ব্রেকিংয়ের দায়িত্ব সামলায় ডিস্ক ব্রেক। এছাড়াও MT125-এ রয়েছে একগুচ্ছ নতুন কালার স্কিম। এই রঙের কারুকার্যগুলি বাইকটির ডিজাইনের সঙ্গে যথার্থ মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। ভারতে কবে নতুন প্রজন্মের Yamaha MT125 লঞ্চ হবে, সে নিয়ে অবশ্য এখনও সংস্থার তরফে কোনও বার্তা আসেনি।