ভর্তুকির নামগন্ধ নেই, দেশে ইলেকট্রিক সাইকেল জনপ্রিয় না হওয়ার পিছনে কেন্দ্রের উদাসীনতাকে দায়ী করছে শিল্প

দু’চাকার বাহনের মধ্যে ভারতীয় মধ্যবিত্তদের অসময়ের বন্ধু হচ্ছে বাইসাইকেল। কচিকাঁচা থেকে মাঝবয়সী, এমনকি বৃদ্ধরাও নিশ্চিন্তে পথ চলার সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁদের ‘অতি প্রিয়’ সাইকেলটিকে।…

দু’চাকার বাহনের মধ্যে ভারতীয় মধ্যবিত্তদের অসময়ের বন্ধু হচ্ছে বাইসাইকেল। কচিকাঁচা থেকে মাঝবয়সী, এমনকি বৃদ্ধরাও নিশ্চিন্তে পথ চলার সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁদের ‘অতি প্রিয়’ সাইকেলটিকে। তবে কালের প্রবাহের সাথে তালে তাল মিলিয়ে বাজারে এসেছে এর ব্যাটারিচালিত ভার্সন। যে দেশে বাইসাইকেলের এত জনপ্রিয়তা, সেখানে এর ইলেকট্রিক ভার্সনের চাহিদাও যে বেশি হবে এমনটা অনুমান করা যায়। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা আসলে ভিন্ন! সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দেখা গেছে, ভারতের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলিতে, এমনকি আমেরিকা, চীন এবং জাপানের বাজারে ইলেকট্রিক সাইকেলের চাহিদা অনেকাংশেই বেশি।

হিরো মোটরস কোম্পানি (Hero Motors Company)-র চেয়ারম্যান পঙ্কজ মুঞ্জল (Pankaj Munjal) বলেছেন, “কেন ভারতের সাইকেল শিল্পক্ষেত্রটি সরকারের পিএলআই (PLI) ও ফেম-২ (FAME-II) গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দুটির আওতার বাইরে রাখা হয়েছে? সরকার দীর্ঘস্থায়ী গতিশীলতার প্রচারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে আসছে, যা COP26 বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনেও উল্লেখ করা হয়েছিল।”

যেখানে প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় সরকারের মুখে পরিবেশবান্ধব যানবাহনের কথা শোনা যাচ্ছে, সেখানে ই-সাইকেল বা বৈদ্যুতিক সাইকেল শিল্পক্ষেত্রটি উপরোক্ত প্রকল্পের আওতায় আনলে, পরিবেশকে সতেজ করার যে লক্ষ্য রয়েছে সরকারের, তা পূরণ করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মুঞ্জল এ প্রসঙ্গে যোগ করেছেন, “ইউরোপের বাজারে বৃহৎ সংখ্যক মানুষ ইলেকট্রিক সাইকেল কিনছেন। কিন্তু ভারতে এর দাম ৩০,০০০ টাকার অধিক হওয়ায় এর চাহিদা কম। সরকার এই শিল্প ক্ষেত্রটি ফেম-২ প্রকল্পের অধীনে নিয়ে এলে মধ্যবিত্তদের জন্য আমরা এই সাইকেলগুলি ১৫,০০০ টাকা দামে বাজারে নিয়ে আসতে পারবো। যেগুলি ভারতের বাজারে নিজের চাহিদা বৃদ্ধি করবে।”

প্রসঙ্গত, Hero Cycles, তাদের ব্যাটারি চালিত সাইকেলগুলি ভারতের পাশাপাশি ইউরোপের বাজারেও সরবরাহ করে। বিদেশের বাজারে এই জাতীয় সাইকেলের চাহিদা বেশি থাকার কারণ এর উপর উপলব্ধ আকর্ষণীয় ভর্তুকি। এমনকি মুঞ্জল রীতিমতো হুমকির সুরে বলেছেন, যদি ভারত সরকার ভর্তুকি চালু না করে, তাহলে তারা দেশ থেকে কারখানা সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হবে।