Ashwini Vaishnaw: হ্যাক হয়েছে ৫০টি সরকারি ওয়েবসাইট, স্বীকার করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
অনলাইন স্ক্যাম, হ্যাকিংয়ের পাশাপাশি বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইউজারদের বেশ অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেটা ব্রিচ বা...অনলাইন স্ক্যাম, হ্যাকিংয়ের পাশাপাশি বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইউজারদের বেশ অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেটা ব্রিচ বা নেটমাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা। একাধিকবার Facebook, Twitter-এর মতো নামজাদা কোম্পানিগুলি এই ধরনের কেলেঙ্কারির মুখে পড়েছে, যার ফলে ডার্ক ওয়েবে উপলব্ধ হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) গত শুক্রবার রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে, ২০২২-২৩ সালে মোট ৫০ টি সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। অর্থাৎ, নামিদামি টেক কোম্পানিগুলির পাশাপাশি সরকারি সাইটও যে পুরোপুরি নিরাপদ নয়, তা এখান থেকেই স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে।
গত কয়েক বছরে প্রচুর সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে
উল্লেখ্য, ওই বৈঠকে সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম (Binoy Viswam)-এর উত্থাপিত সংসদীয় প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা সিইআরটি-ইন (CERT-In)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে যথাক্রমে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রক/ বিভাগ এবং রাজ্য সরকারের মোট ৫৯, ৪২ এবং ৫০ টি ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। সিইআরটি-ইন আরও জানিয়েছে যে, তারা ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে যথাক্রমে ২,৮৩,৫৮১, ৪,৩২,০৫৭, ৩,২৪,৬২০ টি ম্যালিশিয়াস স্ক্যাম সনাক্ত ও প্রতিরোধ করেছে।
বৈষ্ণব আরও জানিয়েছেন যে, সিইআরটি-ইন -এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সরকারি সংস্থাগুলির সাথে সম্পর্কিত মোট ৬, ৭ এবং ৮ টি ডেটা ব্রিচের ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, সিইআরটি-ইন হল ভারত সরকারের নোডাল এজেন্সি, যা ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে। এই সরকারি সংস্থাটি সকল ব্যবহারকারীদেরকে ফিশিং অ্যাটাক এবং হ্যাকিংয়ের মতো সাইবার আক্রমণ সম্পর্কে অবহিত করে, যাতে আগেভাগেই এই ধরনের দুর্ঘটনা সম্পর্কে ইউজাররা সতর্ক হতে পারেন।
গত কয়েক বছরে একাধিকবার ভারতীয় সাইবার স্পেস বিপদের মুখোমুখি হয়েছে
বৈষ্ণবের কথায়, দেশের বাইরে এবং দেশের ভেতর থেকে গত কয়েক বছরে একাধিকবার ভারতীয় সাইবার স্পেসে সাইবার হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে যে, এই ধরনের আক্রমণগুলি বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত কম্পিউটার সিস্টেমগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং আসল সিস্টেমগুলির পরিচয় গোপন করার জন্য ছদ্মবেশী কৌশল এবং গোপন সার্ভার ব্যবহার করে। তবে সিইআরটি-ইন -এর সহায়তায় ভবিষ্যতে এই ধরনের হামলার সংখ্যা বহুলাংশে কমানো সম্ভব হবে বলে চরম আশাবাদী তিনি।