Luxury Car Sales: সস্তা গাড়ি নিয়ে আগ্রহ কম, দামি লাক্সারি গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে, বিক্রির রেকর্ড ভাঙতে পারে পুজোর আগে

২০২২ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতের বাজারে বিলাসবহুল গাড়ির চাহিদা বাড়তে দেখা গিয়েছে। তা সে যে সেগমেন্টেরই হোক না কেন, সকল সংস্থার মুখেই হাসি ফুটিয়েছে…

২০২২ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতের বাজারে বিলাসবহুল গাড়ির চাহিদা বাড়তে দেখা গিয়েছে। তা সে যে সেগমেন্টেরই হোক না কেন, সকল সংস্থার মুখেই হাসি ফুটিয়েছে ভারতবাসীরা। এদিকে গাড়ি বিক্রির গতি এ বছর পুজোর মরসুমে কয়েকগুণ বাড়বে বলেই মনে করছে সংস্থাগুলি। যেমন Mercedes-Benz, Toyota-র Lexus অথবা Volkswagen গোষ্ঠীর Audi পুজোর আগেই গাড়ির চাহিদা বাড়ার বিষয়ে ভীষণ আশাবাদী। এবারের বিক্রির পরিমাণ বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেই ধারনা তাদের। এমনকি সংস্থাগুলির মতে এটি ২০১৯-এর রেকর্ডকেও চুরমার করতে সক্ষম হবে।

তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯-এ মার্সিডিজ বেঞ্জ, ফোক্সভাগেন গোষ্ঠীর মতো অন্যান্য সংস্থাগুলি সম্মিলিতভাবে পুজোর সময় ৪০,০০০-এর বেশি বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রি করেছিল। এই প্রসঙ্গে Lexus India-র সভাপতি নবীন সোনি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “এবারে গাড়ি শিল্প আরও স্থিতিস্থাপক হয়ে উঠেছে এবং কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব ততটা গুরুতর না হওয়ায়, একটি স্থির পুনরুজ্জীবন হয়েছে।”

সোনির কথায়, লাক্সারি গাড়ির সেগমেন্টে ভারতে তীব্র চাহিদা রয়েছে। কোভিড-১৯ এর পর ক্রেতাদের চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তনের কারণেই এটি বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি এবারে লাক্সারি গাড়ির চাহিদা করোনা পূর্ববর্তী ২০১৯-কেও ছাপিয়ে যাবে। যা এতদিন পর্যন্ত সর্বাধিক ছিল।” তিনি এ-ও জানান, “২০১৭-তে লঞ্চের পর থেকে লেক্সাসের গাড়ির চাহিদা এখনো পর্যন্ত তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।”

অন্য দিকে, মার্সিডিজ বেঞ্জের ভারতীয় শাখা তাদের এ বছর লঞ্চের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনেছে। একটি নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি পুণের চাকানের কারখানায় তৈরি করছে তারা। এ মাসের শেষের দিকে EQS বিলাসবহুল ইলেকট্রিক গাড়ির আত্মপ্রকাশ করতে পারে সংস্থা। এই প্রসঙ্গে সংস্থার এমডি এবং সিইও মার্টিন শোয়েঙ্ক বলেন, উৎসবের কারণে এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। তাঁর কথায়, “সেমিকন্ডাক্টর চিপের আকালের মধ্যেও সাপ্লাই জারি রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”

এদিকে ফোক্সভাগেন গোষ্ঠীর অধীনস্থ অডি ইন্ডিয়ার গলাতেও মার্সিডিজ বেঞ্জ ও লেক্সাসের সুর শোনা গিয়েছে। সংস্থার ভারতীয় শাখার প্রধান বলবির সিং ধিলিয়ন জানান, “আমরা আমাদের সদর দপ্তরের সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছি যাতে চাহিদা পূরণ করতে এদেশে দ্বিতীয় কারখানা খোলা যায়।” উল্লেখ্য অডি সম্প্রতি এদেশে A8 L গাড়িটি লঞ্চ করেছে। আবার শীঘ্রই Q3 SUV মডেলটিও আনতে চলেছে তারা। বৈদ্যুতিক মডেল সমেত দুটি গাড়ির বিক্রিতেই বাড়বাড়ন্ত দেখার আশায় দিন গুনছে সংস্থা।

প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে মোট বিক্রিত গাড়ির দুই শতাংশেরও কম বিলাসবহুল বিভাগে পড়ছে। তা সত্ত্বেও, ২৮% জিএসটি এবং সেডান মডেলে ২০% ও এসইউভি মডেলে অতিরিক্ত ২২% সেস দিয়েও মানুষ উচ্চ মূল্যের বিদেশি গাড়ি বাড়ি নিয়ে আসছেন। হালে এই গাড়ির বিক্রি অতীতের চাইতে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে।