বর্তমান যুগে আগের তুলনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক বেশি বেড়াতে যাবার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে, ব্যস্ততার কারণে যারা নিজেরা ট্যুর প্ল্যান করে উঠতে পারে না, তারা এই কাজের জন্য বিভিন্ন ভ্রমণ প্ল্যাটফর্মকে বেছে নেন। যার ফলে ভ্রমণকারীদের অনেকটা সময় বেঁচে যায়। পাশাপাশি, তারা নির্ঝঞ্ঝাটে ঘুরে আসতে পারে। তবে, ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য চুরি করার অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে Make My Trip এবং Goibibo-কে ঘিরে একটি হইচই লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে ব্যবহারকারীরা #boycottmakemytrip হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এই উভয় প্ল্যাটফর্মকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, স্মার্টফোন থেকে এই অ্যাপগুলি আনইন্সটল করার দাবি করেছে। এছাড়াও, এই ঘটনাকে ঘিরে মিমের বন্যা বয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আসলে, ব্যক্তিগত তথ্য চুরির দায়ে দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দাখিল করার পরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।ব্যবহারকারীরা তাদের ডেটার সম্ভাব্য অপব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোইবিবো এবং মেকমাইট্রিপের মতো নেতৃস্থানীয় ভ্রমণ সংস্থাগুলিকে প্রত্যাখ্যান করার দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ EaseMyTrip-এর মতো আরো অন্যান্য ভ্রমণ সংস্থাগুলির সম্পর্কেও নানান পোস্ট করা হয়েছে।
জানিয়ে রাখি যে, বিজেপি নেতা এবং আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় এই মামলাটি দায়ের করেন। যেখানে তিনি ভ্রমণ সংস্থাগুলির দ্বারা আধার এবং পাসপোর্টের মতো তথ্যের অপব্যবহার সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, বিদেশী ভ্রমণ সংস্থাগুলি যে শুধু মাত্র সাধারণ নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে তাই নয়, এর পাশাপাশি তারা বিচার বিভাগের সদস্য, বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারী, মন্ত্রী এবং তাদের পরিবারের ব্যক্তিদের সংবেদনশীল তথ্যও চুরি করে।
অশ্বিনীর মতে, মামলাটিতে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতে কাজ করা বেশ কয়েকটি সংস্থা চীনা বিনিয়োগকারীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবহারকারীদের মনে ডেটা সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লি হাইকোর্টে ডেটা চুরির অভিযোগের পরও ভ্রমণ সংস্থার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।