Facebook, Instagram তৈরি করে ভুল করেছেন? ক্ষমা চাইলেন মার্ক জুকারবার্গ

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্টগুলি যুবসম্প্রদায়ের জীবনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। যোগাযোগ বা বিনোদন পরিষেবা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে র‌্যাগিং বা হেনস্তা হওয়ার ঘটনা এখন আকছার ঘটছে। ফলস্বরূপ…

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্টগুলি যুবসম্প্রদায়ের জীবনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। যোগাযোগ বা বিনোদন পরিষেবা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে র‌্যাগিং বা হেনস্তা হওয়ার ঘটনা এখন আকছার ঘটছে। ফলস্বরূপ বহু কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে দ্বিধা বোধ করছে না। যেকারণে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বিভিন্ন দেশের বহু অভিভাবক সোশ্যাল মিডিয়ার দৌরাত্ম্যে তাদের সন্তানের সাথে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার কথা জানিয়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মের মালিক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছেন।

এইসকল ঘটনা ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে “বড় টেক এবং অনলাইন শিশু যৌন শোষণ সংকট” (Big Tech and the Online Child Sexual Exploitation Crisis)
মামলার শুনানি করা হয়। যেখানে আইন প্রণেতারা মার্ক জুকারবার্গ সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সিইও -দের, যুব-প্রজন্মের জন্য তাদের প্ল্যাটফর্মে কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন৷ শুনানির শেষে মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ সেই সকল বাবা-মায়ের কাছে আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন, যাদের সন্তানের আত্মহত্যা বা শোষণের জন্য ইনস্টাগ্রাম দায়ী।

জানা গেছে শুনানি চলাকালীন আমেরিকার সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির সদস্য জশ হাওলি (Josh Hawley), ইনস্টাগ্রাম দ্বারা শোষিত কিশোর-কিশোরীদের অভিভাবকের কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে মার্ক জুকারবার্গের উপর। যারপর তিনি একটি লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে অভিভাবকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে বলেন – “আপনারা যেসমস্ত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছেন তার জন্য আমি দুঃখিত। এটা খুবই ভয়ানক ঘটনা। আপনাদের পরিবার যে কষ্টগুলো ভোগ করেছে, তার মধ্য দিয়ে যেন কখনো আর কাউকে যেতে না হয়।”

এক্ষেত্রে মেটার কর্ণধার অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছেন যে, মেটা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যাতে যুবসম্প্রদায় কোনোভাবে শোষিত না হয় বা তাদের উপর যেকোনো প্রকারের নেতিবাচক ঘটনার প্রভাব না পরে তার জন্য সবরকমের প্রচেষ্টা করা হবে।

প্রসঙ্গত শুনানির সময় মামলা দায়েরকারী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ছবি হাতে নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। সাথে প্রত্যেকে একটি নীল রঙের ফিতা হাতে পড়েছিল, যাতে – “অনলাইনে শোষণ বন্ধ করা হোক! কোসা (KOSA) আইন পাস করুন!” লেখা নজরে পড়েছে। জানিয়ে রাখি, ‘KOSA’ -এর পুরো অর্থ হল ‘কিডস অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট’।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন