Maruti-র বৈদ্যুতিক গাড়ি ও Suzuki-র বাইক-স্কুটার তৈরি হবে পাশাপাশি, 11000 কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠবে নতুন কারখানা
ভারতীয় বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে যে ঝড় আসতে চলেছে তার পূর্বাভাস আমরা এতদিনে যথেষ্ট পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তার সূচনাপর্ব শুরু...ভারতীয় বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে যে ঝড় আসতে চলেছে তার পূর্বাভাস আমরা এতদিনে যথেষ্ট পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তার সূচনাপর্ব শুরু হওয়ার জোগাড়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের মেইনস্ট্রিম সংস্থাগুলি বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে ডুব দিতে চলেছে। এতদিন এই ক্ষেত্রটি প্রধানত স্টার্টআপ সংস্থাগুলির মধ্যেই আটকে থাকলেও, এবার তার প্রভাব কতটা ব্যাপক হতে চলেছে, তা আশা করি বোঝাই যাচ্ছে। এই সপ্তাহে দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) ও টু-হুইলার সংস্থা সুজুকি মোটরসাইকেল (Suzuki Motorcycle) ভারতে তাদের যথাক্রমে চতুর্থ ও দ্বিতীয় কারখানা তৈরি করতে চলেছে বলে জানিয়েছে।
হরিয়ানার খারখোদাতে একই জায়গায় গাড়ি ও বাইকের কারখানা তৈরি হবে। ২০২৫ থেকেই উৎপাদন শুরু হতে চলেছে সেখানে। ৯০০ একর জমির মধ্যে ১০০ একর বরাদ্দ থাকবে সুজুকি মোটরসাইকেলের জন্য। বাকি ৮০০ একরে মারুতি সুজুকি ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণ করবে। গাড়ির কারখানায় ১১,০০০ কর্মসংস্থান তৈরি হবে, যেখানে বাইকের ফ্যাক্টরিতে ৩,০০০ কর্মী নিয়োগ করা হবে।
তবে সুজুকির এই কারখানায় কেবলমাত্র ইলেকট্রিক গাড়ি নয়, পাশাপাশি ব্যাটারির উৎপাদনও হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে এই কারখানা থেকে বছরে আড়াই লক্ষ ব্যাটারি চালিত গাড়ি তৈরি হবে। এই প্রেক্ষিতে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ১১,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে সুজুকি কর্পোরেশন। উল্লেখ্য, বর্তমানে মানেসার এবং গুরুগ্রামের কারখানায় বছরে মোট ১৫.৮ লক্ষ গাড়ি তৈরি হয়। আর হনসলপুর বেচারাজির কারখানায় বার্ষিক ৫ লাখ গাড়ি উৎপাদিত হয়।
এদিকে খারখোদার কারখানার পাশাপাশি হনসলপুর বেচারাজির উৎপাদন কেন্দ্রেও ৩,১০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে সংস্থাটি। ২০২৫ থেকে সেখানেও বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির নির্মাণকার্য শুরু হবে। আবার ২০২৬ থেকে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য ৭,৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, আগামী তিন বছর মারুতি সুজুকি দম ফেলার ফুরসত পাবে না। কিন্তু কোন মডেলের গাড়ি বিশেষত তৈরি হবে, তা এখনও অজানা। আশা করা হচ্ছে এগুলির মধ্যে একটি WagonR EV।
অন্যদিকে সুজুকি মোটরসাইকেল ইন্ডিয়ার নতুন ১০০ একরের কারখানা দেশের মধ্যে সংস্থাটির বৃহত্তম টু-হুইলারের উৎপাদন কেন্দ্র হতে চলেছে। তাদের প্রথম কারখানাটি ২০০৬ সালে হরিয়ানার গুরুগ্রামে গড়ে উঠেছিল। এর ক্ষেত্রফল মাত্র ১০ একর। সেখানকার বার্ষিক টু-হুইলার উৎপাদনের ক্ষমতা ৭.৫ লাখ। মারুতি সুজুকির নতুন কারখানাটি সম্পূর্ণ চালু হলে যে কোনো সেগমেন্টে প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়। বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সংস্থাটি টু-হুইলারের জন্য নতুন কারখানায় ৬০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে।