Meta-য় চাকরি করতে চান? মার্ক জুকারবার্গের চাহিদার সঙ্গে এই কয়েকটি গুণাবলি খাপ খেলেই কেল্লাফতে
পড়াশোনা শেষ করার পর একটা ভালো চাকরির সন্ধান কমবেশি সকলেই করে থাকেন, আর সেটা যদি আবার Google, Microsoft, Apple-এর মতো...পড়াশোনা শেষ করার পর একটা ভালো চাকরির সন্ধান কমবেশি সকলেই করে থাকেন, আর সেটা যদি আবার Google, Microsoft, Apple-এর মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিতে হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা! কিন্তু চাইলেই তো আর সবকিছু পাওয়া যায় না। তবে বর্তমানে Meta (মেটা)-র মতো জনপ্রিয় কোম্পানিতে আপনি কিন্তু চাইলেই একটা চাকরি পেতে পারেন, আর একথা জানিয়েছেন স্বয়ং মেটার প্রধান মার্ক জুকারবার্গ। এক্ষেত্রে WhatsApp, Instagram এবং Facebook-এর মতো বিশ্বের তিনটি লোকপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের স্রষ্টা সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তিনি এখন মেটাভার্সকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য একটি দল গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছেন। আর তাই উপযুক্ত গুণাগুণ থাকলে আপনি এখানে খুব সহজেই একটা চাকরি পেয়ে যেতে পারেন।
আগেই বলেছি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোলেই অধিকাংশ মানুষ এখন শীর্ষস্থানীয় টেক কোম্পানিগুলিতে যোগদান করার স্বপ্ন দেখে থাকেন। সেক্ষেত্রে মেটায় চাকরি পেতে হলে আপনার কিন্তু সেই যোগ্যতা অবশ্যই থাকতে হবে, যা মার্ক জুকারবার্গ তার কর্মীদের মধ্যে চাইছেন। এমআইটি কম্পিউটার বিজ্ঞানী লেক্স ফ্রিডম্যানের সাথে লেটেস্ট পডকাস্টে, মেটা প্রধান সেই সমস্ত গুণগুলির কথা শেয়ার করেছেন যা তিনি তার কর্মীদের মধ্যে দেখতে চাইছেন আর যেগুলি থাকলে আপনি অনায়াসেই একটি চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য মেটার দরবারে গিয়ে হাজির হতে পারেন।
আসলে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলি সাধারণত একটি পোস্টের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে একটি চেকলিস্ট বা কিছু পরামিতি অনুসরণ করে চলে। গুণাবলির ক্ষেত্রে উচ্চ বুদ্ধিমত্তা, কঠিন সমস্যা চটজলদি সমাধানের ক্ষমতা, এনার্জি, সততার মতো কিছু মূল বিষয়ের ওপরই প্রধানত আলোকপাত করা হয়। কিন্তু লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেটা একটু অন্য পন্থা অনুসরণ করে চলছে। জুকারবার্গের মতে, কাজের উপর ফোকাস করার পাশাপাশি কর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপনের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন, যা এখনকার দিনে অধিকাংশ কোম্পানিই করে না। তাই বসের মতো আচরণ না করে কর্মীদের সঙ্গে অত্যন্ত সাবলীলভাবে মিলেমিশে কাজ করার ওপরই আস্থা রাখেন তিনি।
তিনি আরও বলেছেন যে, তিনি এমন কাউকে নিয়োগ করতে চান যে কাজের সময় তিনি যাতে সেই কর্মীর মধ্যে নিজেকে খুঁজে পান। তাঁর মতে, ভাবনাচিন্তা এবং মানবিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা আদানপ্রদান করার মাধ্যমেই এক সুসমৃদ্ধ কাজের পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এর ফলে যে শুধু নতুন পরিকল্পনার উদ্ভব ঘটে তাই নয়, কোনো কোম্পানির সার্বিক উন্নতির ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিশ্বাস করেন যে, কাউকে নিয়োগ করার আগে কোম্পানির চিন্তাভাবনার সঙ্গে কর্মীর চিন্তাভাবনা সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে কি না, সে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা একান্ত আবশ্যক। তা না হলে কোম্পানির উন্নতি হওয়া কখনোই সম্ভব নয়। তাই শুধু যোগ্যতা থাকলেই হবে না, মেটায় যোগদান করতে হলে আপনাকে কিন্তু অবশ্যই মার্ক জুকারবার্গের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে প্রার্থী নিয়োগের সময় ফেসবুক দুটি জিনিসের দিকে নজর দিয়েছিল: ১) উপযুক্ত বুদ্ধিমত্তা, এবং ২) সংস্থাটি কী করার চেষ্টা করছে, সেটি বুঝে নিয়ে তার সাথে যথাযথভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জুকারবার্গ জানিয়েছিলেন যে, লোক নিয়োগের প্রক্রিয়াটি বেশ কঠিন। এতে যে ইন্টারভিউ দিতে আসছে, তার তুলনায় যে নিয়োগ করছে তাকে বেশি কাজ করতে হয়। সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বে বহু মানুষ চাকরি খুইয়েছেন। তবে জুকারবার্গের এই ঘোষণায় মনে করা যেতে পারে যে, যথাযথ যোগ্যতা এবং গুণাগুণ থাকলে কিছু মানুষের কপাল আবারও ফিরতে চলেছে।