Bharat Petroleum-এর সঙ্গে জোট বাঁধল MG Motor India, এবার বৈদ্যুতিক গাড়ি মালিকদের বড় চিন্তা মিটবে
আগামী এক দু’বছরের মধ্যে দেশে ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) চার্জিং স্টেশন পরিকাঠামোর প্রসার আশাব্যঞ্জক ভাবে না হলে, মার খাবে...আগামী এক দু’বছরের মধ্যে দেশে ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) চার্জিং স্টেশন পরিকাঠামোর প্রসার আশাব্যঞ্জক ভাবে না হলে, মার খাবে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজার। কারণ মাঝরাস্তায় গাড়ির ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে কি করব, এই আশঙ্কায় অনেকেই এখনও বৈদ্যুতিক গাড়ির থেকে বিমুখ রয়েছেন। তাই সেই পরিস্থিতি অনুকূল করার প্রচেষ্টায় শামিল হল এমজি মোটর (MG Motor) এবং ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)। আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের ইভি চার্জিং পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে জোটবদ্ধ হল তারা।
বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রসার ঘটাতে এবং এতে চড়ে মানুষ দূরের পথ যাতে সহজেই পাড়ি দিতে পারে, সে কারণে সংস্থা দু"টি জাতীয় সড়ক বরাবর এবং শহরাঞ্চলের বিশেষ বিশেষ জায়গায় বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সংস্থা দুটি চার্জিং স্টেশন বসানোর ক্ষেত্র, গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ, যন্ত্রাংশের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং চার্জিংয়ের ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য নতুন প্রযুক্তি যৌথভাবে তৈরি করবে। এর ফল অসংখ্য গ্রাহক উপকৃত হবে।
‘ব্যাটারির পুনর্ব্যবহার এবং ব্যাটারির দ্বিতীয় জীবনের সমাধান’ অভিযানের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনের একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে এমজি মোটর। এদিকে ২০২০-তে ZS EV গাড়িটি নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে দেশে একটি পাকাপোক্ত ইভি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এমজি। সংস্থাটি তাদের শোরুম এবং গ্রাহকদের আবাসনে এসি চার্জার এবং ডিসি ফাস্ট চার্জারের মাল্টি সেটআপ চার্জিং সিস্টেম তৈরি করেছে। এমনকি গ্রাহকদের বাড়িতে এবং অফিসে বিনামূল্যে এসি ফার্স্ট চার্জার বসানোর মধ্য দিয়ে সংস্থাটি একটি ৬-ওয়ে চার্জিংয়ের ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছে।
BPCL-এর সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে এমজি মোটরের ভারতীয় শাখার সভাপতি এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব ছাবা বলেন, “বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রসার নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সফলতা দেবে একটি বলিষ্ঠ ইভি ইকোসিস্টেম।” এদিকে চার্জিং স্টেশন তৈরির মধ্য দিয়ে BPCL-ও চাইছে রেঞ্জ এবং সময় নিয়ে মানুষের উদ্বেগ দূর করতে। বর্তমানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ের ধারে বৈদ্যুতিক ফাস্ট চার্জিং স্টেশন তৈরির কাজ করছে সংস্থাটি। তাদের লক্ষ্য আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দেশে ৭,০০০ ফাস্ট চার্জিং স্টেশনের সুবিধা গড়ে তোলা।