Bajaj Chetak ইলেকট্রিক স্কুটারের নতুন ভার্সন বাজারে আসছে, এবার আরও পাওয়ারফুল হয়ে
২০২০-এ ভারতের বাজারে ভোল বদলে আত্মপ্রকাশ করেছিল Bajaj Chetak। ১৪ বছর পর তার প্রত্যাবর্তন হয়েছিল ব্যাটারিচালিত অবতারে।...২০২০-এ ভারতের বাজারে ভোল বদলে আত্মপ্রকাশ করেছিল Bajaj Chetak। ১৪ বছর পর তার প্রত্যাবর্তন হয়েছিল ব্যাটারিচালিত অবতারে। দু'বছর পর Chetak ইলেকট্রিক স্কুটারের আপডেটেড ভার্সন আনার পথে Bajaj। লঞ্চ করার জন্য সরকার থেকে অনুমোদনও পেয়ে গিয়েছে তারা। ফাঁস হওয়া নথি বলছে বর্তমান প্রজন্মের Chetak-এর তুলনায় নতুন মডেলটি কিছুটা বেশি শক্তিশালী, তবে আগের চেয়ে আপডেটেড ভার্সনে ছোট ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ নতুন মডেলের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কমানো হয়েছে।
বাজাজ চেতক'র টাইপ অ্যাপ্রুভাল সার্টিফিকেট থেকে জানা গিয়েছে, ঘন্টা প্রতি ৬০ কিলোমিটার বেগে চলার সময় ই -স্কুটারটির মোটরের রেটেড পিক পাওয়ার ৪.২ কিলোওয়াট আওয়ার থাকবে। আবার উল্লিখিত গতিতে আধ ঘন্টা ধরে ৪ কিলোওয়াট আওয়ার শক্তি উৎপন্ন করার ক্ষমতা রয়েছে নতুন চেতক'এ।
এ দিকে নতুন চেতক'র ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ধরলে, তা ৩.০ কিলোওয়াট আওয়ার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২.৮৮৪ কিলোওয়াট আওয়ার। অ্যাম্পিয়ার আওয়ারে মাপলে যা ৬০.৩ থেকে ৫৭.২৪-এ হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে প্রভাবিত হবে রেঞ্জ বা এক চার্জে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত স্কুটারের সফর করার ক্ষমতা। তবে এই সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র পাওয়ার জন্য বাজাজ'র তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। উল্লেখ্য, ইকো মোড বা কম স্পিডে বর্তমানে চেতক ৯০ কিলোমিটারের আশেপাশে একটানা চলতে সক্ষম।
বাজাজ চেতক (Bajaj Chetak) এখন আর্বানে (Urbane) ও প্রিমিয়াম (Premium) এডিশনে পাওয়া যায়। উভয় ভ্যারিয়েন্টে আপডেটেড ব্যাটারি ও পাওয়ারট্রেন থাকবে বলে আশা করা যায়। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে অফিসিয়ালি লঞ্চ হতে পারে। বর্তমানে কেন্দ্রের ফেম-২ ভর্তুকি ধরে চেতক'র দাম ১,৪২,৩৯০ টাকা। তবে আকুরদি'তে ইভি-র জন্য ডেডিকেটেড ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি গড়ে তোলার ফলে লোকালাইজেশন বা স্থানীয়করণ বৃদ্ধির ফলে ধীরে ধীরে চেতকে'র মূল্য আরও নাগালের মধ্যে আসবে বলেই ধারণা করা যায়।
Bajaj Chetak এখন অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গোয়া, গুজরাত, এবং কেরালা'য় উপলব্ধ। তবে চলতি বছরে ২২টি নতুন শহরে চেতক লঞ্চ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে বাজাজ।