Royal Enfield: অনেক প্ল্যানিংয়ের পর অবশেষে স্বপ্ন সফল, রয়্যাল এনফিল্ডে চেপে লাদাখ পাড়ি মা-ছেলে জুটির
পৃথিবীতে একজন মা ও তাঁর সন্তানের সম্পর্ক পবিত্রতম বলে যুগ যুগ ধরে পরিগণিত হয়ে এসেছে। যে কোনো মানুষের জীবনের প্রথম...পৃথিবীতে একজন মা ও তাঁর সন্তানের সম্পর্ক পবিত্রতম বলে যুগ যুগ ধরে পরিগণিত হয়ে এসেছে। যে কোনো মানুষের জীবনের প্রথম শিক্ষক থেকে বন্ধু হলেন তার মা। মায়ের কাছে সুখ-দুঃখের কথা নিঃসঙ্কোচে বলা যায়। আর যদি কোনো দূরের সফরের সাথী মা’কে করা যায়, তবে তো সোনায় সোহাগা! ঠিক তেমনই মায়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকে লং ট্রিপের সূচনা করলেন কেরলের এরনাকুলামের উত্তর পারাভুর অঞ্চলের বাসিন্দা গোপাকুমার। ৬০ বছর বয়সী মাকে বাইকের পেছনে বসিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়লেন লাদাখে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে।
মাতৃভূমি নিউজ তাদের ইউটিউব চ্যানেলে মা-ছেলের এই যাত্রার কিছু ভিডিয়ো ক্লিপ শেয়ার করেছেন। গোপাকুমার এবং তাঁর মা সিন্ধু, ইতিমধ্যেই লাদাখের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই যাত্রার জন্য পরিকল্পনা থাকলেও, বাস্তবে তা হচ্ছিল না। তবে এবারে সেটি সার্থক হতে চলেছে। ভারতের মধ্যে দীর্ঘতম যাত্রাপথের মধ্যে একটিতে সফরের জন্য তাঁরা বেছে নিয়েছেন রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান (Royal Enfield Himalayan) অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার মোটরসাইকেল। ভিডিয়োটিতে হিমালয়ানের বেশকিছু কাস্টমাইজেশন নজরে পড়েছে। যেমন জেরি ক্যান, অক্সিলিয়ারি ল্যাম্প, স্যাডেল ব্যাগ এবং পেছনের যাত্রীর জন্য ব্যাক রেস্ট।
মজার বিষয় হলো গোপাকুমার ও সিন্ধু দুজনেই বাইক চালাতে পারদর্শী। চলার পথে যদি একজনের ক্লান্তি আসে, তবে হাত বদল করে নিলেই মিলবে স্বস্তি। এভাবে একনাগাড়ে অনেকটা পথ ভ্রমণ করা যাবে। গত এক বছর আগে সিন্ধু মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স পেয়েছেন। ভিডিয়োতে দেখা গেছে, কখনও মা আবার কখনও ছেলে হাতবদল করে বাইক চালাচ্ছেন। আবার পথিমধ্যে নিরাপত্তার জন্য তাঁরা পরিধান করেছেন রাইডিং জ্যাকেট, জুতো, হেলমেট এবং বাইক চালানোর উপযোগী দস্তানা।
সিন্ধু বর্তমানে কেরলের মহারাজা কলেজের ক্যান্টিনে কাজ করেন এবং তার ছেলে গোপাকুমার একটি বেসরকারি সংস্থার সেলস এক্সিকিউটিভ। প্রায় ৩,৬০০ কিলোমিটারের সুদীর্ঘ যাত্রাপথে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ কিমি রাস্তা পার করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।গোপাকুমার ও তাঁর মা সিন্ধুর এই যাত্রা নিরাপদ ও সফল হোক, টেকগাফের তরফ থেকে আমরা সেই কামনা করি।
রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান প্রসঙ্গে বলতে গেলে ভারতের জনপ্রিয়তম অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল এটি। সমতল থেকে উঁচু নিচু রাস্তা সাবলীলতার সাথে অতিক্রম করা যায় এতে। আবার হিমালয়ানের ৪৫০ সিসি ভার্সনের উপরে কাজ করছে রয়্যাল এনফিল্ড। এটি বাজারে এলে পুরনো মডেলের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে পারে সংস্থা। ইতিমধ্যেই Himalayan 450 দেশে রোড টেস্টিংয়ে দেখা গিয়েছে। ডিজাইনের দিক থেকে হিমালয়ের বাজার চলতি মডেলটির সাথে বেশকিছু বৈসাদৃশ্য থাকবে এতে।