WhatsApp -এ এসেছিল একটি লিঙ্ক, ক্লিক করতেই ৯ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে ফাঁকা, কীভাবে ঘটলো এই ঘটনা
অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা যেভাবে দিন কে দিন বেড়েই চলেছে, তাতে প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে সাধারণ মানুষের সর্বস্বান্ত হওয়ার...অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা যেভাবে দিন কে দিন বেড়েই চলেছে, তাতে প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে সাধারণ মানুষের সর্বস্বান্ত হওয়ার সামনে আসছে। কখনো কাস্টমার কেয়ারের নম্বর খুঁজতে গিয়ে পা পড়ছে প্রতারণার ফাঁদে, আবার কখনো ওটিপির নামে বা পুরষ্কার-চাকরির টোপ দিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ। সেক্ষেত্রে সম্প্রতি মুম্বইয়ে এমনই একটি নতুন ঘটনা ঘটেছে, যেখানে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন (পড়ুন খোদ) অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাঙ্ক কর্মচারী। হ্যাঁ ঠিকই বলছি! মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বইয়ের পূর্ব বোরিভালির সাইবার জালিয়াতরা প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মীকে ৯ লক্ষ টাকারও বেশি প্রতারণা করেছে।
লাখ লাখ টাকার অনলাইন স্ক্যামের মুখে ব্যাঙ্ক কর্মী
জানা গিয়েছে যে, পুষ্পলতা প্রদীপ নামের এক মহিলা অবসর নেওয়ার পর তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF)-এর সেভিংস, ফিক্সড ডিপোজিট করেন। কিন্তু এই ফিক্সড ডিপোজিটের সময় পুষ্পলতা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হন, যার জেরে তিনি ব্যাঙ্কে অনলাইন অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ব্যাঙ্কের সাইটে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে গিয়েও কাজের হয়না, বারবার 'এরর' (error) ত্রুটির সম্মুখীন হন ওই মহিলা। কিন্তু অভিযোগ করার এই প্রক্রিয়ায় তিনি নিজের ফোন নম্বর উল্লেখ করেন, যাতে করে তার নম্বরে দুটি কল আসে। আর এখান থেকেই ঘটে যায় বিপত্তি।
এক্ষেত্রে কিছু প্রতারক নিজেদের ব্যাঙ্ক এক্সিকিউটিভ দাবি করে পুষ্পলতাকে হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্ক পাঠিয়ে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে এবং তাতে সমস্ত অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেয়। ভিক্টিমও বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে অ্যাপটি ডাউনলোড করেন, যেখানে তাঁকে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের বিবরণ পূরণ করতে বলা হয়; এমনকি তাঁর কাছে চাওয়া হয় ব্যাঙ্ক ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ডের মত বিশদও। ব্যস, তারপরেই জালিয়াতরা তাদের শিকারের এই ভুলের সুযোগ নিয়ে তাঁর টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে ফেলে।
গোটা ঘটনার দরুন ব্যাঙ্ক এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা, যার প্রেক্ষিতে দাহিসার থানায় আইপিসি (IPC) ৪১৯, ৪২০ ধারা এবং আইটি আইনের ৬৬ (সি), ৬৬ (ডি) ধারার অধীনে মামলা রুজু হয়েছে।এখন তিনি তাঁর টাকা ফেরত পাবেন কিনা, সেটাই দেখার বিষয়! সেক্ষেত্রে আপনাদের বলব, ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের এই যুগে এমন ঘটনা থেকে বাঁচতে কোনো সন্দেহজনক ফোন কল বা এসএমএসের ফাঁদে পা দেবেননা। এছাড়া কোনো অজানা লিঙ্কে ক্লিক না করে সবসময় বিশ্বস্ত অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন।