কেউ কিনতো না বলে বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেই মোটরসাইকেল নতুন অবতারে লঞ্চ করতে চলেছে Hero MotoCorp

অ্যাডভেঞ্চার গোত্রীয় বাইকের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেন, এমন সংখ্যক মানুষের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তা কাঁচা মাটির হোক বা শক্ত প্রস্তরের, যেকোনো ধরনের দুর্গম পথে…

অ্যাডভেঞ্চার গোত্রীয় বাইকের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেন, এমন সংখ্যক মানুষের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তা কাঁচা মাটির হোক বা শক্ত প্রস্তরের, যেকোনো ধরনের দুর্গম পথে জারিজুরি দেখাতে একটি অ্যাডভেঞ্চার বাইকের জুড়ি মেলা ভার। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে সস্তার অ্যাডভেঞ্চার বাইক হিসেবে পরিচিত Hero XPulse। সম্প্রতি একটি নতুন র‍্যালি কিট ও রাস্তায় চলাচলের বৈধ র‍্যালি এডিশনে লঞ্চ হয়েছে Hero XPulse 200 4V। তবে অনেকেই রয়েছেন যারা একটি রোড-ওরিয়েন্টেড অ্যাডভেঞ্চার বাইক পছন্দ করেন। অর্থাৎ দৃশ্যত অ্যাডভেঞ্চার মডেলের সাথে মিল থাকলেও, সেটি আদতে সমতল রাস্তায় চলাচলের উপযুক্ত। তেমনই একটি মডেল ছিল Hero XPulse 200T। এক সময় বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হলেও, এবারে ভোল বদলে নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে XPulse 200T।

অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, ভারতের বাজারে XPulse 200T-র বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায়, একসময় এর উৎপাদন বন্ধ করে দেয় হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)। কিন্তু এবারে নবরূপে ফিরতে চলেছে বাইকটি। সম্প্রতি XPulse 200T-এর নতুন ভার্সনের ছবি একটি বিজ্ঞাপণী ভিডিয়োর শ্যুটিং স্থল থেকে ধরা পড়েছে। যা এর তাড়াতাড়ি লঞ্চকেই ইঙ্গিত করে। ফাঁস হওয়া ছবিতে মিষ্টি লাল রঙের বাইকটিতে একাধিক পরিবর্তন নজরে পড়েছে। যেমন বডি প্যানেলের লাল রঙ হেডলাইট ভাইজারেও বর্তমান। আবার সামনের ফর্কে রয়েছে গেইটার। সবমিলিয়ে গ্রাহকদের মন উদ্বেলিত করে তোলার জন্য যথেষ্ট।

Hero XPulse 200T

বাইকটির বহিরঙ্গের দেখা মিলবে ডুয়েল টোন ফিনিশিং। এছাড়া ডিজাইনে বিশেষ কিছু পরিবর্তন ঘটানো হয়নি। যেমন ফ্রন্ট পেটাল ডিস্ক, ইন্ডিকেটর এবং হেডলাইটের পুরনো মডেলটির সাথে হুবহু মিল রয়েছে। অন্যদিকে পুরনো মডেলের এগজস্ট গোল্ড ফিনিশ থাকলেও, আসন্ন মডেলে সেটি গ্রে ফিনিশিং চোখে পড়েছে।  বাইকটিতে আগের মতই একটি ২০০ সিসি অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যা থেকে ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৭.৮ হর্সপাওয়ার এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৬.১৫ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে।

আগের মতই Hero XPulse 200T-র ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত থাকবে একটি ৫-স্পিড গিয়ার বক্স। এটি একটি ডায়মন্ড ফ্রেমের ওপর তৈরি। এর আগের মডেলে উপস্থিত ২৭৬ মিমি ডিস্ক ব্রেক সহ ৩৭ মিমি শক আপফ্রন্ট এবং পেছনে ২২০ মিমি ডিস্ক ব্রেক যুক্ত একটি মোনোশক সাসপেনশন। মাটি থেকে সিটের উচ্চতা ৮০০ মিমি। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৭৮ মিমি এবং ওজন ১৫৪ কেজি। বাজারের লঞ্চ হওয়ার পর বাইকটি Apache RTR 200 4V, Bajaj Pulsar N250 ও Yamaha FZ25-এর সাথে প্রতিযোগিতা করবে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন