WhatsApp: ভিডিওতে লাইক করলেই টাকা, বেকারত্বের জ্বালা ঘোচাতে এই ভুল করবেন না
WhatsApp-এর ওপর স্মার্টফোন তথা ইন্টারনেট ইউজারদের নির্ভরশীলতা যত বাড়ছে, ততই এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি ঘিরে...WhatsApp-এর ওপর স্মার্টফোন তথা ইন্টারনেট ইউজারদের নির্ভরশীলতা যত বাড়ছে, ততই এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি ঘিরে বাড়ছে জালিয়াতির ঘটনা। WhatsApp ইউজারদের শিকার (পড়ুন বোকা) বানাতে প্রতারকরা রোজই কোনো না কোনো নতুন কৌশল নিয়ে হাজির হচ্ছে। তবে সম্প্রতি উপার্জন উৎসুক ব্যক্তিদের টার্গেট করে এবার এমন একটি স্ক্যাম মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যার জেরে অকালেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বারোটা বেজে যাবে। ভাবছেন কী ব্যাপার? সেক্ষেত্রে বলি, এখন সাধারণ মানুষজনকে কেবলমাত্র YouTube ভিডিওতে লাইক করে মোটা টাকা আয় করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। WhatsApp, Facebook জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং চাকরি ভিত্তিক সাইটগুলিতে এখন একটি বিজ্ঞাপন ঘুরছে যেখানে বলা হচ্ছে – কয়েক মিনিটের কাজেই বাড়ি বসে দিনে ৫০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যাবে। কিন্তু লোভনীয় হলেও এ আসলে এক ফাঁদ!
পুরোনো চালেই সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের ঠকাচ্ছে প্রতারকরা
প্রতারিত ব্যক্তিদের বক্তব্য এবং মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে লিঙ্কডইন (LinkedIn)-এর মাধ্যমে প্রতারকরা রোজগারের প্রচার করছে। এক্ষেত্রে শিকারকে একটি মেসেজ পাঠিয়ে নির্দিষ্ট স্লট রিজার্ভ করার জন্য রিপ্লাই দিতে বলা হয়। এরপর কোনো আগ্রহী এই বিষয়ে উৎসাহ দেখালেই তাকে বা তাদের ইউটিউব ভিডিও লাইক করার বিনিময়ে ৫০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলে প্রতারকরা এবং নিজেদের বড় সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেট কোম্পানির অংশ হিসেবে দাবি করে।
শুধু তাই নয়, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট এবং বটের মাধ্যমে এই প্রতারকরা সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের বিশ্বাস জেতার চেষ্টা করে। ইউটিউব লাইকের বিনিময়ে তারা প্রথম প্রথম শিকারের কাছে অল্প টাকা (তিনটি ভিডিওতে লাইকের জন্য প্রায় ১৫০ টাকার মত) পাঠায়। কিন্তু ঠিক তারপরেই তারা জানায় যে, সেই ব্যক্তির ইউপিআই (UPI)-তে কোনো সমস্যা হচ্ছে তাই পেমেন্ট পাঠানো যাচ্ছেনা। অতএব তিনি যেন একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে নেন, যাতে সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়া যাবে। এমতাবস্থায় একবার লিঙ্কে ক্লিক করে অ্যাপ ডাউনলোড করে কী বিপদ হতে পারে, সে খবর ইতিমধ্যে আমরা বহুবার শুনেছি। অর্থাৎ বলতে গেলে এখন জালিয়াতির পুরোনো ফাঁদকে নতুন কায়দায় কাজে লাগানো হচ্ছে।
আসলে ওই অ্যাপ ম্যালওয়ার বা ট্রোজান সম্বলিত কোনো রিমোট অ্যাক্সেস অ্যাপ। এর মাধ্যমে ডাউনলোডকারীর ফোন সংক্রান্ত গতিবিধিতে নজর রাখতে শুরু করে প্রতারকরা এবং ইমেইল, পাসওয়ার্ড, ব্যাঙ্ক এমনকি ইউপিআইয়ের তথ্য তাদের হাতে পৌঁছে যায়। আর এমন তথ্য অন্যের আঙুলের ডগায় থাকা মানে আপনার কষ্টের টাকা খোওয়া যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চোখ কান খোলা রাখুন এবং সামান্য টাকা পেতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হবেন না!