চাকরি আদৌ থাকবে? মেধা খেয়ে ফেলবে ChatGPT! আশঙ্কা আরও বাড়াল OpenAI
চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) এখন সর্বত্র। শিক্ষা থেকে কর্মক্ষেত্র সব জায়গায় বহুচর্চিত এই শব্দ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের...চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) এখন সর্বত্র। শিক্ষা থেকে কর্মক্ষেত্র সব জায়গায় বহুচর্চিত এই শব্দ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বাড়বাড়ান্তে বহু মানুষ কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা এমনিতেই কাজ করছে। তার উপর চাপ যেন আরও বাড়াল চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই (OpenAI)-এর চিপ টেকনোলজি অফিসার অর্থাৎ সিটিও (CTO) মীরা মুরাতির মন্তব্য।
মীরা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পূর্ণ করেছিলেন, সেখানে ভিজিটে গিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যত এবং চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্ম সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, চ্যাটজিপিটি থ্রি-এ আসলে শিশুর মতো বুদ্ধিমান ছিল। পরবর্তীতে জিপিটি-ফোর-এর বুদ্ধিমত্তা স্তর ছিল একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মতো।
মুরাতি যোগ করেন, জিপিটি-ফাইভ-এর আসন্ন প্রজন্মে পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত কারও বুদ্ধিমত্তা থাকবে। এর ফলে কিছু সৃজনশীল কাজে মানুষের প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করছেন তিনি। চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্ম কবে মুক্তি পাবে, সে বিষয়ে তাঁর মত, এটি প্রায় দেড় বছরের মধ্যে লঞ্চ হবে। তিনি আরও বলেছেন, আপনি যখন চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের সাথে কথোপকথন করবেন তখন আপনার মনে হতে পারে এটি আপনার চেয়ে স্মার্ট।
AI-এর বাড়বাড়ন্ত কী কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা বাড়াবে
মুরাতির বিশ্বাস, এআই প্রযুক্তির প্রসার সুদূরপ্রসারী৷ এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যা এর দ্বারা প্রভাবিত হবে না। এমন কিছু কাজ চলে যাবে, যা হয়তো প্রথম স্থানে দরকার ছিল না। শেষে তিনি বলেন, নেক্সট জেনারেশন AI সৃজনশীলতার প্রয়োজনীয়তাকে এতটা কমিয়ে দেবে যে এই কাজগুলি আর শুধুমাত্র প্রতিভাবানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সবাই সেগুলি করতে সক্ষম হবে।