দূষণহীন পুননর্বীকরণ শক্তির ব্যবহার বাড়াতে Bharat Petroleum-এর সঙ্গে জোট বাঁধল এই রাজ্য

প্রকৃতি থেকে উৎপন্ন শক্তি পরিবেশ দূষণ ঘটায় না। যেমন সূর্যালোক, বাতাস এবং জল থেকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপন্ন পরিবেশবান্ধব শক্তি বা গ্রীন এনার্জি।…

প্রকৃতি থেকে উৎপন্ন শক্তি পরিবেশ দূষণ ঘটায় না। যেমন সূর্যালোক, বাতাস এবং জল থেকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপন্ন পরিবেশবান্ধব শক্তি বা গ্রীন এনার্জি। এই জাতীয় শক্তির মধ্যে কয়েকটি হল সোলার এনার্জি, জলবিদ্যুৎ, জিওথার্মাল, বায়োমাস প্রভৃতি। পরিবেশের কোনোরকম দূষণ সৃষ্টি না করে এগুলি পাওয়া যায়, তাই এর নামকরণ করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব শক্তি। বর্তমানে এই জাতীয় শক্তির উৎপাদন বাড়ানোতে মনোনিবেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাথে কয়েকটি রাজ্যও সেই পথের পথিক হয়েছে। যেমন ওড়িশা সরকার গ্রীন এনার্জির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সাথে মৌ স্বাক্ষর করল।

ওড়িশা রাজ্যের হয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোমোশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ ওড়িশা লিমিটেড (IPICOL)-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভূপেন্দ্র সিং পুনিয়া এবং ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের হয়ে অমিত গর্গ পাঁচ বছরের জন্য মৌ স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির এবং গ্রীন হাইড্রোজেনের কারখানা তৈরি, পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান ভাগাভাগি করবে বিপিসিএল ও ওড়িশা।

IPICOL একটি বিবৃতিতে বলেছে, “পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন রাজ্যের শিল্প কেন্দ্রগুলি থেকে নির্গত গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে সহায়তা করবে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, “ওড়িশা একটি উদ্বৃত্ত শক্তির রাজ্য। তারা বর্তমানে শক্তির ক্ষেত্রে নিজেদের স্থান শক্তপোক্ত করতে চায়।”

ওড়িশার মুখ্য সচিব সুরেশচন্দ্র মহাপাত্র বলেন, “আমাদের প্রচুর প্রাকৃতিক শক্তির সম্পদ রয়েছে এবং স্টিল শিল্পের সম্প্রসারণে পরিবেশ বান্ধব শক্তি একটি বড় ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে ইথানল, সোলার এবং হাইড্রোজেন থেকে পরিবেশ বান্ধব শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।” ভারত পেট্রোলিয়ামের চেয়ারম্যান এবং এমডি অরুণ কুমার সিং বলেছেন, “ওড়িশা এই উদ্ভাবনী উদ্যোগটি খুঁজে বের করেছে। এই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সৌর শক্তি এবং পরিবেশবান্ধব ইথানল শক্তি উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।”