Ola Futurefactory: ওলার ই-স্কুটার কারখানার এক বছর পূর্তি, কেক কেটে উদযাপন মহিলা কর্মীদের, নারীশক্তিকে কুর্নিশ, বললেন CEO
পৃথিবীর বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার কারখানা গড়ে ভারতের উৎপাদন ক্ষমতা ও দক্ষতার সাথে বিশ্বকে জ্ঞাত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন...পৃথিবীর বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার কারখানা গড়ে ভারতের উৎপাদন ক্ষমতা ও দক্ষতার সাথে বিশ্বকে জ্ঞাত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-এর কর্ণধার ভাবিশ আগরওয়াল (Bhavish Agarwal)। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার যাত্রাপথের দূরত্বে অবস্থিত তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরির জেলার পোচামপল্লী শহরে ৫০০ একর রুক্ষ পাথুরে জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার, (তখন ভারতীয় মুদ্রায় ২৪১৬ কোটি টাকার বেশি) বিনিয়োগে ক্যাব এগ্রিগেটর থেকে সরাসরি গাড়ি তৈরির ব্যবসায় পা রাখছে তার সংস্থা।
তারপর রেকর্ড সময়ে তৈরি হয়েছে ওলার ই-স্কুটার কারখানা। মাত্র ক'মাসের মধ্যেই সেই ফাঁকা জমির ভোল বদলে গিয়েছে। মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ভাবিশের স্বপ্নের ফিউচারফ্যাক্টরি (Futurefactory)। ভবিষ্যতে পরিবহন ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। রাস্তার দখল নেবে বৈদ্যুতিক যানবাহন। আর সেই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে ওলা৷ তাই 'ফিউচার'-কে মাথায় রেখেই ওলার ই-স্কুটার উৎপাদন কেন্দ্রের নাম নির্বাচন করা হয়েছে।
গতকাল ওলা ফিউচারফ্যাক্টরির প্রথম প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। ভাবিশ সামাজিক গণমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয়৷ আমরা ভুলে গেলেও টুইট করে সংস্থার কারখানার এক বছর পূর্তি সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন তিনি। কারখানার কর্মীদের উচ্ছাস, কেক কাটার মুহুর্তগুলি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল ভাবিশ লিখেছেন, ঠিক এক বছর আগে ফিউচারফ্যাক্টরির ভূমি পুজো করা হয়েছিল। সেই উপলক্ষ্যে কারখানার দু'হাজার মহিলা কর্মচারীদের সাথে প্রতিষ্ঠার প্রথম বছর উদযাপন করলাম আমরা। নারীশক্তিকে কুর্নিশ জানাই। তারা দেখিয়েছেন একটি বিপ্লব শুরু করতে কী লাগে। আমরা তাদের কার্যকলাপ এবং উদ্যম দেখে অনুপ্রাণিত!
প্রসঙ্গত, ওলা ই-স্কুটার উৎপাদন কেন্দ্র সম্পূর্ণরূপে মহিলা পরিচালিত। ভারতের গাড়ি শিল্পের ইতিহাসে যা প্রথম। ফিউচারফ্যাক্টরিতে দশ হাজারের কাছাকাছি মহিলা কর্মী নিযুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। সেই হিসাবে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মহিলা পরিচালিত কারখানা।
আবার ফিউচারফ্যাক্টরির চলার পথে সাফল্যের হাত ধরেই এসেছে বিতর্ক। যেমন প্রতিশ্রুতিমতো নির্দিষ্ট সমযে ডেলিভারি দিতে না পারা। দৈনিক এক হাজার ই-স্কুটারের পরিমাণ দাবি করা হলেও সেটা দেড়শোর কম বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। গত বছর পর্যন্তও বডি শপে অর্ধেক কর্মচারী নিয়ে কাজ, প্রভৃতি।
উল্লেখ্য, ওলা গত বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন দু'টি বিদ্যুৎচালিত স্কুটার লঞ্চ করেছিল - Ola S1 ও S1 Pro। ই-স্কুটারগুলির দাম রাখা হয়েছিল যথাক্রমে ৯৯,৯৯৯ টাকা ও ১,২৯,৯৯৯ টাকা। আবার রাজ্যভেদে ভর্তুকি ধরে S1 এবং S1 Pro আরও সস্তায় উপলব্ধ৷ ব্যাটারি চার্জ পরিপূর্ণ অবস্থায় ওলা এস১ ইলেকট্রিক স্কুটার চলবে ১২১ কিমি পথ। ০-৪০ কিমি/ঘন্টা গতিবেগ তুলতে সময় নেবে ৩.৬ সেকেন্ড। সর্বোচ্চ গতিসীমা ৯০ কিমি/ঘন্টা।
অন্যদিকে, ওলা এস১ প্রো মাত্র ৩ সেকেন্ডে ০-৪০ কিমি/ঘন্টা গতি তুলতে সক্ষম। টপ স্পিড ১১৫ কিমি। একচার্জে স্কুটারটি ১৮১ কিমি সফর করতে পারে। যদিও এটা এআরআই সার্টিফায়েড রেঞ্জ। অর্থাৎ পরীক্ষাগারে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ব্যাটারির ক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে। বাস্তবে তার হেরফের হবে। এই রেঞ্জ গোপন করা নিয়েও মাঝে সমালোচনার মুখে পড়েছিল ওলা।