Ola ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে বেঙ্গালুরুর রাজপথে ঘুরলেন কোম্পানির সিইও, এ মাসেই কি লঞ্চ?

ইনক্রেডিবল স্পিড, আর্গোনমিক সিটিং, সুপ্রিম রাইড কনফোর্ট, সুপারিওর কর্নারিং, ক্লাস লিডিং অ্যাক্সেলারেশন, টপ-নচ হ্যান্ডলিং, সলিড ট্রাকশন, ওলার ইলেকট্রিক স্কুটারে (Ola Electric Scooter) সওয়ার হয়ে নিজের…

ইনক্রেডিবল স্পিড, আর্গোনমিক সিটিং, সুপ্রিম রাইড কনফোর্ট, সুপারিওর কর্নারিং, ক্লাস লিডিং অ্যাক্সেলারেশন, টপ-নচ হ্যান্ডলিং, সলিড ট্রাকশন, ওলার ইলেকট্রিক স্কুটারে (Ola Electric Scooter) সওয়ার হয়ে নিজের অভিজ্ঞতাকে এমনই শব্দবন্ধনীর মাধ্যমে প্রকাশ করলেন ওলার কর্ণধার ভাবিশ আগরওয়াল (Bhavish Agarwal)। কালো রঙের ওলা ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে বেঙ্গালুরুর সদরদপ্তর থেকে একটি ক্যাফেতে পৌঁছলেন তিনি। আর সেই ভিডিও নিজের অফিসিয়াল টুইটার প্রোফাইল থেকে ভাবিশ পোস্ট করেছেন।

টুইটের উপরে লিখলেন, টুইট পড়তে আপনার যে সময় লাগছে, তার থেকেও কম সময়ে ওলার বৈদ্যুতিক স্কুটার ০-৬০ কিমি গতি তুলতে পারবে। প্রস্তুত থাকুন বা নাই থাকুন, বিপ্লব কিন্তু আসছে।

এই প্রথমবার ৫৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়ো থেকে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটারের সম্পূর্ণ চেহারা সামনে এল। নেদারল্যান্ডের Etergo BV অধিগ্রহণ করার পরই স্পষ্ট হয়ে গেছিল, Etergo AppScoter-এর ভারতীয় ভার্সন আমরা দেখতে চলেছি। বাস্তবেও হল তাই। ওলা স্কুটারের সাথে অ্যাপস্কুটারের চেহারার হুবহু মিল, যেন জুড়ুয়া ভাই।

ক্যাফেতে পৌঁছনার পর ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার দেখতে ভিড় জমালেন কয়েকজন। বুট স্টোরেজ খুলে তাঁদেরকে ভাবিশ দেখালেন, ভেতরের কতটা স্পেস রয়েছে। বলতে গেলে সেগমেন্টে এরকম বড় বুট স্পেস আর কোনও স্কুটারে নেই। দু’টো হাফ হেমলেট হামেশাই সেখানে ধরে যাবে। আবার টুইটে ০-৬০ অ্যাক্সেলারেশন উল্লেখ করার অর্থ হল, ওলার ইলেকট্রিক স্কুটারে বেশ ভালই ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর এবং ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।

অ্যাপস্কুটারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করার ফলে ফুল চার্জে ওলা ই-স্কুটার একটানা ১০০-১৫০ পথ চলতে পারবে। রিমুভেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল, ক্লাউড কানেক্টিভিটির মতো বৈশিষ্ট্য এতে থাকবে।

বেঙ্গালুরু শহর থেকে ১৫০ কিমি দূরত্বে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণাগিরিতে ৫০০ একর জমির উপরে গড়ে উঠছে ভাবিশ আগরওয়ালের স্বপ্নের ফিউচারফ্যাক্টরি (Futurefactory)। আর কয়েকমাসের মধ্যেই পৃথিবীর বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটার কারখানা হিসেবে এটি মাথা তুলে দাঁড়াবে। কারখানার প্রথম দফার (Phase 1) কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে।

তামিলনাড়ুর কারখানার কাজ সম্পূর্ণ করতে ওলা ২৪১৬ কোটি টাকার কাছাকাছি বিনিয়োগ করেছে। সেখানে বছরে প্রায় ১ কোটি ই-স্কুটার তৈরি হবে। প্রাথমিকভাবে কারখানাতে ২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পুরোদমে কাজ চালু হয়ে যাওয়ার পর ওলার ফিউচার ফ্যাক্টরি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে আরও ৮ হাজার মানুষের রুজি রোজগারের স্থান হয়ে উঠবে। তবে শুধু ভারতের বাজারে নয়, ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, লাতিন আমেরিকার, এশিয়া প্যাসিফিক, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডেও পৌঁছে যাবে ওলার মেড ইন ইন্ডিয়া ইলেকট্রিক স্কুটার!

লঞ্চ হওয়ার পর ওলার ইলেকট্রিক স্কুটার যাতে নিশ্চিন্তে চালানো যায়, তার আগাম প্রস্তুতিও ওলা সেরে রাখছে। বৈদ্যুতিন যানবাহনের চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামোর উন্নয়নে ওলা দেশজুড়ে হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক তৈরি করবে। এই বছরে একশোটি শহরে পাঁচ হাজার চার্জিং পয়েন্ট বসানোর মাধ্যমে সেই কর্মযজ্ঞ শুরু হবে। হাইপারচার্জার নেটওয়ার্কের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতে চারশোটি শহরে এক লাখের বেশি চার্জিং পয়েন্ট স্থাপন করা হবে।

ওলার চার্জিং স্টেশন বা হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক দু’ধরণের ফরম্যাটে আসবে; একটি হবে ভার্টিকাল টাওয়ার ভিত্তিক চার্জার‌, এবং অপরটি বিভিন্ন মল, আইটি পার্ক, অফিস কমপ্লেক্স, ক্যাফে-রেস্তোরাঁর মতো জনপ্রিয় এবং লোক সমাগমের জায়গায় স্টান্ড এলোন চার্জার হিসেবে বসানো হবে।

ওলা ই-স্কুটার আরোহীকে হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক পয়েন্টে এসে চার্জিং পয়েন্টের প্লাগটি স্কুটারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ব্যাটারি কতটা চার্জ হল বা ফুল চার্জ হতে কতটা বাকি, একটি ডেডিকেটেড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে তা নিরীক্ষণ করা যাবে। চার্জিং স্টেশনে ওলা স্কুটারের ব্যাটারিকে ১৮ মিনিটের মধ্যেই ৫০ শতাংশ চার্জ করা যাবে। স্মার্টফোনের মাধ্যমেই পেমেন্ট করার সুবিধা থাকবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন