পর্যাপ্ত পরীক্ষা হয়নি, ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, বিস্ফোরক দাবি Ola-র প্রাক্তন আধিকারিকের

বিভিন্ন নেতিবাচক কারণে বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে দেশের বহুল চর্চিত ইলেকট্রিক স্কুটার নির্মাতা ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-এর নাম। যার মধ্যে স্কুটারে আগুন ধরে যাওয়া মুখ্য…

বিভিন্ন নেতিবাচক কারণে বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে দেশের বহুল চর্চিত ইলেকট্রিক স্কুটার নির্মাতা ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-এর নাম। যার মধ্যে স্কুটারে আগুন ধরে যাওয়া মুখ্য কারণ। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তাতে যুক্ত হয়েছে সফটওয়্যারের গোলযোগ, নির্মাণের মান ও ব্যাটারিতে ব্যবহৃত নিম্নমানের উপাদানের মতো অভিযোগ। আবার হালে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ইস্তাফা দিয়েছেন ওলায়। বিগত দু’মাসে পদত্যাগ করেছেন প্রায় ৩২ জন অফিসার। সিএনবিসি টিভি১৮-এর কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওলার এক প্রাক্তন আধিকারিক সংস্থার অন্দরমহলের হাল হকিকত সম্পর্কে মুখ খুলেছেন।

ওলার স্কুটার সম্পর্কে গ্রাহকদের বারংবার এই অভিযোগে আসল কারণ নিয়ে হাটে হাড়ি ভেঙেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর কথায়, ইলেকট্রিক স্কুটার পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়নি সংস্থা। এমনকি ওলার সিইও ভাবিশ আগরওয়াল (Bhavish Aggarwal)-কে S1 ও S1 Pro লঞ্চের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে নতুন কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়। এর ৬ মাসের মধ্যেই মাথায় লঞ্চ করা হয় স্কুটার। যার ৪ মাসের মধ্যে স্কুটারের ডেলিভারি দেওয়া শুরু হয়। অর্থাৎ সংস্থার প্রাক্তন কর্মীর কথায় এ কথা পরিষ্কার যে স্কুটার তৈরিতে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া হয়নি।

এদিকে দু’চাকার পর চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনার জন্য কোমর বেঁধেছে ওলা ইলেকট্রিক। ইতিমধ্যেই এর এক ঝলক দেখানো হয়েছে। দেলে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি সেলের কারখানা তৈরির জন্য তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্য সরকারের সাথে জমির বিষয়ে কথাবার্তা জারি রেখেছে সংস্থা। কারখানা তৈরির জন্য প্রয়োজন ১,০০০ একর জমি। এই প্রেক্ষিতে ভারতে তাদের ৭,৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি ওলার কর্ণধার ব্রিটেনে তাঁদের গ্লোবাল ডিজাইন স্টুডিও এবং রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ফিউচারফাউন্ড্রি (Futurefoundry)-র ছবি প্রকাশ করেছেন। সংস্থার প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ির ডিজাইন এখানেই হবে বলে অনুমান।

প্রসঙ্গত, ডেলিভারি শুরু করার প্রথম কয়েক মাস শুরুটা ভালো হলেও পরপর কিছু অপ্রীতিকর ঘটনায় যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছে ওলা ইলেকট্রিককে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী মে মাসের তুলনায় জুন মাসে তাদের বিক্রিতে পতন ঘটেছে প্রায় ৪০%। যেখানে মে’তে মোট ৯,৯১৬ জনের কাছে পৌঁছে গেছিল Ola S1 Pro, সেখানে গত মাসে এই সংখ্যাটি ছিল ৫,৬৮৯। আবার এপ্রিলে বিক্রি হওয়া ১২,০০০ ইউনিটের তুলনায় মে মাসে এই পতনের হার প্রায় ৩০%। ফলে এপ্রিলে ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলারের শীর্ষস্থান দখল করলেও, জুনে ব্যবসার পতন প্রথম থেকে একেবারে চারে নামিয়ে এনেছে ওলাকে।