কেন্দ্রের সাথে চুক্তি সম্পন্ন, দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি সেল তৈরি করবে Ola

ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ার সংজ্ঞা বদলাতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ব্যাটারির জন্য চীন, তাইওয়ান, ও কোরিয়ার উপর ভারতীয় সংস্থাগুলিকে নির্ভর করে থাকতে হলেও, সেই…

ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ার সংজ্ঞা বদলাতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ব্যাটারির জন্য চীন, তাইওয়ান, ও কোরিয়ার উপর ভারতীয় সংস্থাগুলিকে নির্ভর করে থাকতে হলেও, সেই পালা এবার ঘুচতে চলেছে। দেশেই তৈরি হবে দু’চাকা ও চার চাকা বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি সেল। যে কাজে ইতিমধ্যেই একাধিক সংস্থা কোমর বেঁধেছে। দেশের অন্যতম চর্চিত ইলেকট্রিক টু-হুইলার নির্মাতা ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-ও এই পথের পথিক। ক’দিন আগেই ওলার কর্ণধার ভাবিশ আগরওয়াল ভারতে দেশীয় প্রযুক্তিতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির সেল উৎপাদনের ঘোষণা করেছিলেন। এবারে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভারতের ভারী শিল্প মন্ত্রকের সাথে উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প বা পিএলআই (PLI) স্কিমে স্বাক্ষরের কথা জানাল তারা।

এই প্রসঙ্গে ভাবিশ বলেছেন, অ্যাপ ক্যাব থেকে ইলেকট্রিক স্কুটার নির্মাণের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে সেল তৈরির জন্য ভারী শিল্প মন্ত্রকের সাথে পিএলআই স্কিমে স্বাক্ষর করেছি আমরা। ভারত শীঘ্রই সেল টেকনোলজিতে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। কারন আমরা দেশের মাটিতে সেল উৎপাদন করব। অন্য পরিষেবা এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা বর্তমানে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।”

এদিকে তামিলনাড়ুতে বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রিক স্কুটারের কারখানা নির্মাণের পর এবার বেঙ্গালুরুতে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি ইনোভেশন সেন্টার গড়ে তুলছে ওলা। যার একঝলক ইতিমধ্যেই সামাজিক গণমাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির সেই ব্যাটারি সেলের উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণে ৫০ কোটি ডলার (প্রায় ৩,৯৯৭ কোটি) টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। সেখানে ৫০০-র বেশি প্রযুক্তিবিদ এবং গবেষক কাজ করবেন। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। সামনের মাস থেকেই কাজ চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওলার দাবি, তাদের উন্নত মানের সেল ব্যাটারির সার্বিক আয়ু এবং কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলি ভারতীয় আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হবে। ভাবিশের বক্তব্য, “ওলা বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক আধুনিক সেল গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলছে। যেগুলি আমাদের এগোতে এবং দ্রুত উদ্ভাবনে সহায়তা করবে। পাশাপাশি বিশ্বের মধ্যে দ্রুততার সাথে বৈদ্যুতিক গাড়ির সাশ্রয়ী এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জাম তৈরি হবে। আর ব্যাটারি সেল তৈরিতে ওলার আত্মনির্ভরতা তাদের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে নিয়ে আসতেও বেশ সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা‌।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *