OnePlus 10T নয় টেকসই স্মার্টফোন, পরীক্ষায় ডাহা ফেল, অল্প চাপেই ভেঙে গেল
কিছুদিন আগে OnePlus 10 Pro ডিউরাবিলিটি টেস্টের সময় বেন্ড টেস্ট চলাকালীন সামান্য শক্তি প্রয়োগেই দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে...কিছুদিন আগে OnePlus 10 Pro ডিউরাবিলিটি টেস্টের সময় বেন্ড টেস্ট চলাকালীন সামান্য শক্তি প্রয়োগেই দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেটের এরূপ পলকা বডি বিল্ড স্ট্রাকচার দেখে গ্রাহক-বেস যথেষ্টই নিরাশ হয়েছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই, চলতি বছরে সংস্থার তরফ থেকে অফার করা দ্বিতীয় ফ্ল্যাগশিপ মডেল অর্থাৎ OnePlus 10T -কে আরো উন্নত তথা শক্তিশালী চ্যাসিস ডিজাইনের সাথে নিয়ে আসা হবে বলে আশা রেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এই লেটেস্ট ডিভাইসটির ডিউরাবিলিটি টেস্টের ফলাফল দ্বিগুন হতাশ করেছে আমাদের।
OnePlus 10 Pro এর ন্যায় OnePlus 10T স্মার্টফোনও নিরাশাজনক ফলাফল স্থায়িত্বের পরীক্ষায়
জনপ্রিয় ইউটিউবার 'জেরিরিগএভরিথিং' (JerryRigEverything) সম্প্রতি একটি নতুন ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তাকে গত ৩রা আগস্ট লঞ্চ হওয়া ওয়ানপ্লাস ১০টি মডেলটিকে নিয়ে একটি ডিউরাবিলিটি টেস্ট করতে দেখা গেছে৷ এই ভিডিওতে, তিনি আলোচ্য স্মার্টফোনকে আর পাঁচটা সাধারণ ডিউরাবিলিটি টেস্টের ন্যায় - স্ক্র্যাচেস (scratches), ফ্লেমস (flames), এবং বেন্ড (bend) পরীক্ষার সম্মুখীন করিয়ে ছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত চীনের 'অ্যাপল' নামে খ্যাত স্মার্টফোন নির্মাতাটি এবারও টেকসই ডিভাইস আনার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। কেননা, চলতি বছরের দ্বিতীয় ফ্ল্যাগশিপটিও বেন্ড টেস্টে ব্যর্থ হয়েছে এবং পূর্বসূরির ন্যায় ঠিক ক্যামেরা মডিউলের নিচে থেকে ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেছে।
ওয়ানপ্লাস ১০ প্রো স্মার্টফোনের রিভিউ দিতে গিয়ে ইউটিউবার তার পূর্ববর্তী ভিডিওতে উল্লেখ করেছেন যে, এরূপ দু'টুকরো হয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণ সম্ভবত ক্যামেরা মডিউলের নীচের দুর্বল কাঠামো। অতএব, এই 'স্ট্রাকচারাল' সমস্যাটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার পর সংস্থাটি তাদের পরবর্তী হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে ভুল শুধরে নেবে এবং আরো উন্নত ডিজাইন অফার করবে বলেই আশা করেছিলাম আমরা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো লেটেস্ট ওয়ানপ্লাস ১০টি মডেলের ক্ষেত্রেও এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।
যাইহোক, আলোচ্য ফোনটি ডিসপ্লের ফ্রন্ট এবং ব্যাক সাইডের থেকে মোহ (Moh) -এর হার্ডনেস স্কেলের ৬ লেভেল পর্যন্ত টিকে ছিল। আর ফ্লেমস টেস্টেও ডিভাইসের OLED ডিসপ্লেতে কোনো দাগ পড়তে দেখা যায়নি। অন্যদিকে স্ক্র্যাচেস টেস্টে দেখা গেছে যে, ফোনটির বডি মেটালের মতো দেখতে হলেও আসলে তা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি, যাতে চাকু দিয়ে খোঁচ দেওয়ার দরুন স্থায়ীভাবে স্ক্র্যাচ পড়েছে।
তবে বেন্ড টেস্টের সময় সর্বাধিক হতাশাজনক ফলাফল সামনে আসে। ইউটিউবার খালি হাতে ওয়ানপ্লাস ১০টি ফোনের দুই প্রান্তে সামান্য চাপ দিতেই ক্যামেরা মডিউলের নিচের ফ্রেমে ফাটল ধরে। এমনকি, তিনি ফোনের ডিসপ্লেটিকে পর্যন্ত চ্যাসিস বা বডি থেকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভিডিওতে, ক্যামেরা মডিউলটিকেও মূল বডি স্ট্রাকচারের থেকে ভেঙে আলাদা হয়ে যেতে দেখা গেছে। এক কথায় বললে, ওয়ানপ্লাস ১০টি ফোনের বডি বিল্ড যে খুবই দুর্বল তা ধরা পড়েছে ডিউরাবিলিটি টেস্টে।