ফের কাঠগড়ায় অনলাইন শপিং, ৫০৯৯৯ টাকার Apple Watch অর্ডার করে ২০০০ টাকার স্মার্টওয়াচ পেলেন মহিলা
অন্যান্য স্ক্যামের পাশাপাশি Online Shopping-এর ক্ষেত্রেও জালিয়াতি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আর স্ক্যামাররা সাধারণ মানুষকে...অন্যান্য স্ক্যামের পাশাপাশি Online Shopping-এর ক্ষেত্রেও জালিয়াতি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আর স্ক্যামাররা সাধারণ মানুষকে ঠকানোর জন্য নিত্যনতুন পদ্ধতির অবলম্বন করছে। সম্প্রতি ই-কমার্স সাইট Amazon-এর মাধ্যমে এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে সানায়া নামের এক মহিলা অ্যামাজন থেকে ৫০,৯০০ টাকার একটি Apple Watch Series 8 অর্ডার করে ''ফিট লাইফ" ওয়াচ পেয়েছেন।
আসল ঘটনাটি কি?
সানায়া নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী কিছুদিন আগে অনলাইন শপিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ওই মহিলা জানিয়েছেন, ৮ জুলাই তিনি ৫০,৯০০ টাকা দামের Apple Watch Series 8 অর্ডার করেছিলেন। তবে, ৯ জুলাই তিনি ডেলিভারি প্যাকেটটি হাতে পাবার পর দেখেন তার কাছে ফিট লাইফের একটি ঘড়ি এসে পৌঁছেছে। তারপর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ডেলিভারি প্যাকেটের ছবি শেয়ার করার সাথে দাবি করেন যে, রিফান্ডের জন্য অ্যামাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
ওই মহিলাটি টুইটারে লিখেছেন, "অ্যামাজন থেকে কখনো কোনো কিছু অর্ডার করবেন না। আমি ৮ জুলাই অ্যামাজন থেকে অ্যাপেল ওয়াচ সিরিজ ৮ অর্ডার করেছিলাম এবং ৯ জুলাই আমি একটি নকল ফিট লাইফের ঘড়ি পেয়েছি, আর অনেকবার ফোন করার পরও AmazonHelp-এর তরফ থেকে কোনো রকম সাহায্য পাইনি।"
এরপর ওই টুইটের জবাবে AmazonHelp-এর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করা হয়। যেখানে ওই মহিলার কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়, সেই সঙ্গে ওনাকে ডিএম (ডিরেক্ট মেসেজ)-এর মাধ্যমে অর্ডার ডিটেলস পাঠানোর জন্য বলা হয়। এরই মধ্যে একাধিক ব্যবহারকারীরা অনলাইন শপিং কেলেঙ্কারিতে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানান এবং অনলাইনে দামি গ্যাজেট না কেনার পরামর্শও দেন।
অনেক ক্রেতাই অনলাইন কেনাকাটা করার সময় অন্য প্রোডাক্ট পাওয়ার অথবা জালিয়াতি হবার অভিযোগ করেছেন। শুধু অ্যামাজন নয়, ক্রেতারা ফ্লিপকার্ট এবং মিসোর মতো অন্যান্য শপিং অ্যাপ থেকেও ভুল প্রোডাক্ট পাওয়ার একাধিক ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তবে এই বিষয়টির চর্চা তখন বেড়ে যায়, যখন এক ব্যক্তি জানান তিনি iPhone 14-এর বদলে সাবান পেয়েছিলেন।
অনলাইন শপিং করার সময় সচেতন থাকুন
যদিও অনলাইনে কেনাকাটা করলে সব সময় যে সমস্যায় পড়তে হয় তা নয়। তবুও অনলাইন কেনাকাটার সময় কিছু বিষয়ে সাবধান থাকা দরকার। যেমন, যখনই কেনাকাটা করবেন বিশ্বস্ত কোনো সাইট থেকে করবেন। শপিং সাইটে অথবা ডেলিভারির সময় কোনো সংবেদনশীল ডেটা কারোর সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এছাড়াও, যিনি ডেলিভারি করছেন পার্সেল সংক্রান্ত ওটিপি ছাড়া তার সাথে অতিরিক্ত কোনো ওটিপি অথবা ইউপিআই আইডির মতন তথ্য আদান-প্রদান করবেন না।