ইতিমধ্যেই সরকারি তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, মে মাসের মধ্যে 5G স্পেকট্রাম নিলাম সম্পন্ন হবে। এদিকে একের পর এক নামজাদা সংস্থা যেভাবে জোরকদমে 5G (৫জি) ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক রোলআউটের জন্য ভারতবাসীদের আর হয়তো খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। সেক্ষেত্রে এই ইভেন্টের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ হিসেবে, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি Oppo (ওপ্পো) ঘোষণা করেছে যে স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাটি ভারতীয় টেলিকম নেটওয়ার্ক অপারেটর Reliance Jio (রিলায়েন্স জিও)-র সাথে অংশীদারিত্বে একটি 5G স্ট্যান্ডঅ্যালোন এবং নন-স্ট্যান্ডঅ্যালোন নেটওয়ার্ক ট্রায়াল পরিচালনা করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানি রিলায়েন্স জিও বরাদ্দকৃত মিড-ব্যান্ড ট্রায়াল স্পেকট্রাম ব্যবহার করে এই ৫জি ট্রায়ালটি পরিচালনা করেছে, যা ৩.৩ গিগাহার্টজ থেকে ৩.৬ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। এই বিষয়ে ওপ্পো আরও জানিয়েছে যে, একটি ডেমো সেটআপে Reno7 স্মার্টফোনে এই ৫জি ট্রায়ালটি সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। আর, এই টেস্টের সুবাদে সুপার-ফাস্ট ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিডসহ ডিভাইসে ল্যাগ-ফ্রি 4K ভিডিও স্ট্রিমিং এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া গেছে বলেও সংস্থাটি দাবি করেছে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছে Oppo Reno7 Pro, যা ১০টি ব্যান্ড সাপোর্ট সহ এসেছে। অন্যদিকে, স্ট্যান্ডার্ড Reno7-এ ১৩ টি ব্যান্ড সাপোর্ট রয়েছে, যা দেশের যে-কোনো জায়গায় অত্যন্ত সাবলীলভাবে ইউজারদের 5G নেটওয়ার্কের অ্যাক্সেস প্রদান করবে। উল্লেখ্য, ভারতের বাজারে Oppo Reno7-এর দাম ২৮,৯৯৯ টাকা।
রিলায়েন্স জিওর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা তথা ৫জি ট্রায়াল পরিচালনা প্রসঙ্গে ওপ্পো ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইন্ডিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের হেড তাসলিম আরিফ একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, ৫জি-র মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমগ্র বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনছে। এতে তাদের সাম্প্রতিক ট্রায়ালটি পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক রোলআউটের প্রচেষ্টাকে আরও সুসংহত করবে। সেইসাথে গ্রাহকদের আরও সাবলীলভাবে অত্যন্ত উন্নত মানের নেটওয়ার্ক পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর দরুন একাধিকবার স্পেকট্রামের নিলাম পিছিয়ে যাওয়ার পর চলতি বছরের মে মাসের মধ্যেই ৫জি স্পেকট্রামের নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই বছরের শেষের দিকে কিংবা ২০২৩ সালের মধ্যেই পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির বাণিজ্যিক রোলআউটের দিকে নজর রাখছে ভারত সরকার। ফলে 5G-র স্বপ্নে মশগুল ভারতবাসীর বাসনা পূরণ হতে আর খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।